দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী লীগ বেআইনি ইউনুস সরকারের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। দেশের স্বাধীনতার সাথে সম্পৃক্ত ঐতিহাসিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার এ ধরনের ঘৃণ্য ও জঘন্য কর্মকাণ্ড কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, তাদের কোনো অধিকার নেই এই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার। ছাত্রলীগ বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতা যুদ্ধে যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, তা জাতির ইতিহাসের অঙ্গ। ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, যারা জাতির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে। ছাত্রলীগের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেশের ইতিহাস এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর এক ভয়াবহ আঘাত।
অসাংবিধানিক ও অবৈধ তথাকথিত ইউনুস সরকার শুধুমাত্র ছাত্রলীগকেই নিষিদ্ধ করেনি, বরং হাজার হাজার পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ কর্মীদের হত্যাকারীদেরকে দায়মুক্তি দিয়েছে। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং ১৫ই আগস্টের জাতীয় শোক দিবসকে সরিয়ে দিয়ে তারা প্রমাণ করেছে, এ সরকার মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির প্রতিশোধ নিতে এসেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই ছাত্রলীগের জন্ম, এবং মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিটি সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে। এমন একটি ঐতিহাসিক সংগঠনকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, এই সরকার দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তি ধ্বংসের চক্রান্ত করছে। এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর একটি বড় আঘাত।
এছাড়া, অসংখ্য মানুষকে হত্যা, নির্যাতন, এবং জাতীয় অর্থনীতি ধ্বংস করার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের জনগণকে চরম দুর্দশার মধ্যে ফেলেছে। দেশের কোটি কোটি মানুষ এখন তাদের অবৈধ শাসনের বিরুদ্ধে মুক্তি চাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী লীগ এই বেআইনি সরকারের সকল পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তাদের কোনো অধিকার নেই বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক ছাত্রলীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার। আমরা অবিলম্বে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো।
জয় বাংলা!
জয় বঙ্গবন্ধু!
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।