অন্তর্বর্তী সরকারকে অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক, অবৈধ দাবি করে শেখ হাসিনাকে ঘিরে বিচারিক ‘প্রহসন’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
গতকাল ২১ অক্টোবর সোমবার দুপুরে অজ্ঞাত স্থান থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাস হোসেন ও সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। হাসিনার পতনের পর ছাত্রলীগের শীর্ষ সব নেতা পলাতক।
এতে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে সংঘটিত আন্দোলনে শান্তিপূর্ণ ও আইনি সমাধানের প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী-মৌলবাদী-দেশবিরোধী সংগঠনের প্রশিক্ষিত ক্যাডার বাহিনী, রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত এবং পেশাদার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে পরিচালিত তাণ্ডবের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না মর্মে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ।’
‘আইনের শাসন বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের নবতর সংস্করণ চালু, কারাগার থেকে অপরাধীদের মুক্তি, বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপের প্রকৃত উদ্দেশ্য গণতন্ত্রকামী ছাত্রসমাজের কাছে দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়ে ফুটে উঠেছে। শেখ হাসিনার সরকার বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ এবং জাতিসংঘকে পূর্ণ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আইনানুগ প্রক্রিয়া বন্ধ করার মাধ্যমে অবৈধ, অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক সরকার ‘মেটিকুলৌসলি প্ল্যানড’ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দায়মুক্তি নিশ্চিত করতে চায়। পঁচাত্তরের ইনডেমনিটি খুনিদের সুরক্ষাকবচ হতে পারেনি, চব্বিশের দায়মুক্তিও খুনিদের সুরক্ষা দিতে পারবে না।’
‘বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ লক্ষ্য করছে অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক, অবৈধ সরকার কর্তৃক সরাসরি পরিচালিত ও প্রযোজিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচারিক প্রহসনের তামাশা মঞ্চস্থ হতে শুরু করেছে। জনগণের নির্ভরতা ও নিশ্চয়তার প্রিয় ঠিকানা শেখ হাসিনাকে ঘিরে কোনো ষড়যন্ত্রই বরদাশত করবে না বাংলাদেশের মানুষ। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমেই সব অপচেষ্টা রুখে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছাত্রলীগ।’