খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) প্রথম আবৃত্তি সংগঠন ‘ওংকার শৃণুতা’র উদ্যোগে তিন পর্বের দিনব্যাপী বাচিক উৎকর্ষ ও আবৃত্তি বিষয়ক কর্মশালা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (শনিবার) সকাল নয়টা থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. সত্যেন্দ্র নাথ বসু এক নাম্বার একাডেমিক ভবনের উঠানে দিনব্যাপী শীর্ষক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্ব সঞ্চালনা করেন, আইন ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জ্যোতি রায়, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাইরুন নাহার এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ওংকার শৃণুতা প্রধান সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ সুমন।
কর্মশালার প্রথম পর্বে “প্রমীত উচ্চারণ ও দৈনন্দিন বাক চর্চার” উপর প্রশিক্ষণ দিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিন সহযোগী অধ্যাপক মৌমিতা রায়।
এছাড়াও কর্মশালাটির দ্বিতীয় পর্বে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠক মাজহারুল হক লিপু। তিনি “বাংলা ভাষা: উত্তর-আধুনিক জীবনে আবৃত্তি ও সাংগঠনিক চর্চার গুরুত্ব সম্পর্কে বিষদ আলোচনা করেন।
কর্মশালাটির তৃতীয় অর্থাৎ শেষ পর্বে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী কাজল ইসলাম। যার আলোচনার বিষয় ছিলে “আবৃত্তি নির্মাণ”
অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও, নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ, সবুরণনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, খুলনা মেডিকেল কলেজ, খুলনা আবৃত্তি সংঘ এবং খুলনা নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাক আবৃত্তি অনুশীলন চক্র খুলনার প্রতিষ্ঠাতা সুলতান মাহমুদ শ্রাবণ।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, উচ্চারণের জড়তা বা ভুল সমাধানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের একত্রে অবস্থানে প্রমিত উচ্চারণ কে সমৃদ্ধ করে। মেধার চর্চা বা কবিতা না পড়লে, আবৃত্তি করা সম্ভব না। ভাষার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি এটাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।
প্রথম পর্বের আলোচনা শেষে প্রশিক্ষক মৌমিতা রায়কে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ওংকার শৃণুতার উপদেষ্টা এনামুল হক হীরা,
দ্বিতীয় পর্বের প্রশিক্ষক মাজহারুল হক লিপুকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ওংকার শৃণুতার প্রধান সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ সুমন এবং শেষ পর্বের প্রশিক্ষক কাজল ইসলামকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ওংকার শৃণুতার প্রধান উপদেষ্টা ড. মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণ কারিদের সনদ প্রদান করা হয়।
ওংকার শৃণুতা’র প্রধান সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ সুমন, শুদ্ধ বাংলা ভাষার চর্চা অব্যাহত থাকুক এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।