বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা সাকিব আল হাসানের আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করার লক্ষ্যে দেশে ফেরার পরিকল্পনা ভালোভাবেই এগোচ্ছিল। তবে শেষ সময়ে শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। দীর্ঘ সময়ের আলোচনা ও সবুজ সংকেত পাওয়ার পরও মাঝপথে থেমে যেতে হয় তাকে। দুবাই থেকে আর দেশে ফেরা হলো না এই অলরাউন্ডারের। মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলার কথা থাকলেও সেটি আপাতত হচ্ছে না। কেন এমন হলো? সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতেই সাকিবকে দেশে ফিরতে নিরুৎসাহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে সাকিবের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভ ও জনগণের অসন্তোষের কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের মতো একজন ক্রিকেটার দেশের মাটিতে বিদায় নিক, আমিও এটা চাই। কিন্তু সাকিবের রাজনৈতিক অবস্থান এবং সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে জনমনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যদিও তিনি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু বিক্ষোভগুলো দেখে মনে হচ্ছে তা যথেষ্ট ছিল না। তাই সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে কোনও অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে বিসিবিকে তাকে দেশে না আসার পরামর্শ দিতে হয়েছে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এবং দেশের আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ থাকলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেগুলোর সমাধান করা উচিত।’
প্রসঙ্গত, আগামী ২১ অক্টোবর মিরপুরে প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাকিবের এই ম্যাচের মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার কথা ছিল। বিসিবি তাকে নিয়ে টেস্ট স্কোয়াডও ঘোষণা করেছিল। তবে তার দেশে ফেরার প্রক্রিয়া স্থগিত হওয়ায় স্কোয়াডেও পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে সাকিব ‘ইএসপিএন ক্রিকইনফো’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি জানি না ভবিষ্যতে কী হবে, তবে এখন মনে হচ্ছে দেশে ফিরছি না।’