শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ অপরাহ্ন

সিন্ডিকেটের কবলে দ্রব্যমূল্য ও করণীয়

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ / ২০ পড়া হয়েছে
আপডেট মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪
সিন্ডিকেটের কবলে দ্রব্যমূল্য ও করণীয়
সিন্ডিকেটের কবলে দ্রব্যমূল্য ও করণীয়

সানজিদা ইসলাম ঢাকার মোহাম্মদপুরে বসবাস করেন স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে। স্বামীর ৩০ হাজার টাকা বেতনে দুই রুমের বাসায় থেকে পরিবার নিয়ে বসবাস তাদের। ক্রমাগত নানান পন্যের দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সানজিদার পরিবার। সানজিদার পরিবারের আয় বাড়ে নি। তাই ব্যয় মেটাতে এখন চার ডজন এর জায়গায় দুই ডজন ডিম দিয়ে এখন মাস চালাতে হয় তাদের। মাছের বাজারও তেমনি। পূর্বের তুলনায় অর্ধেক মাছ কিনে কোন রকম মাস চলে। আর গরুর গোস্ত, সে তো কখনো কখনো শুধু আত্মীয় -স্বজন আসলেই কেনা হয়। এ ছাড়া মাংসের দোকানে তাকানো যেন অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা! এভাবে মূল্যস্তর বৃদ্ধির কারণ বুঝে উঠতে পারে না সানজিদা বা তার পরিবার।

সারা বাংলাদেশ থেকে একটু মাথা গোজার ঠায় খুঁজতে ঢাকায় আসা সানজিদার মত হাজারো পরিবারের প্রশ্ন নিত্যপ্রয়োনীয় পণ্যসমূহ একটু স্বাভাবিক দামে সরবরাহ করার কোন পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ নেই কী! পকেট কাটার এ প্রতিযোগিতা যেন আর থামবার নয়! মানুষের কথা ভাবতে পারে না সিন্ডিকেট নামের দস্যুরা। এটাকে মূল্যেস্তর বৃদ্ধি বলে না। কারণ অর্থনীতির ভাষায় মূল্যস্তর বৃদ্ধি বা মূল্যস্ফীতি হলো মানুষের হাতে খরচযোগ্য অর্থ বা টাকা বেড়ে যাওয়ার কারণে বা দ্রব্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়া। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণকে বলা যেতে পারে অলিগোপলি বা মাত্র কয়েকজন বিক্রেতার হাতে বন্দী বাজার ব্যবস্থা। খুব অল্প সংখ্যক বিক্রেতার হাতে যখন বাজার মূল্যের নিয়ন্ত্রণ থাকে তাকে অর্থনীতির ভাষায় অলিগোপলি বাজার ব্যবস্থা বলে। মৌলিক বা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্ষেত্রে কয়েক জনের হাতে নিয়ন্ত্রিত বাজার কোন সভ্যদেশে চলতে পারে না।

আমাদের পাশের দেশ ভারতে এক ডজন ডিম যখন মাত্র ৫০ থেকে ৬০ টাকা সেখানে প্রায় তিনগুণ দাম গুণতে হয় বাংলাদেশে অথচ এদেশেও মাত্র ১৪ টাকা ডজন ডিম ছিল ২০০৫ সালে। ডিম ও মুরগী সমাচারে জানা যায় বিভিন্ন অঞ্চলভেদে সিন্ডিকেটের আওতায় এরিয়া ভাগ করা আছে। যে কেউ চাইলেই যে কোন অঞ্চলে যে কোন মালামাল বিক্রয় করতে পারে না।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যে অসহায়ত্ব নেমে আসে তা সরকারকে আমলে নিতে হবে। কারণ ব্যবসা আর সিন্ডিকেট এক বিষয় নয়। সম্পূর্ণ ব্যবসা বহির্ভূত একটি বিষয়কে আমরা ব্যবসা বলতে পারি না। ব্যবসা আর দুর্নীতি এক বিষয় নয়। নিশ্চয় কারো কলিজা কেটে বিক্রি করাকে আমরা মাংসের ব্যবসা বলতে পারি না।

দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে হলে পণ্যের অবাধ উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। অগ্রহণযোগ্য সিন্ডিকেট ব্যবস্থার কারণে বিভিন্ন দ্রব্যের উৎপাদন, আমদানি ও সরবরাহ ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ সম্ভব হয়নি। বরং এককালের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা প্রায় উপড়ে ফেলা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত হয়েছে কিছু নীতিহীন ও কালো চশমার দৌরাত্ম। তারা প্রথমে উৎপাদনের উপকরণগুলিকে গ্রাস করেছে। তারপর আউটপুট বা ফাইনালি প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম ইচ্ছামাফিক চালিয়ে দেয়। বিভিন্ন মৌলিক খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে অন্যতম যেমন মুরগীর মাংস ও ডিম আমাদের দেশে অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ দুটিসহ অন্যান্য খাদ্য উৎপাদনের কাঁচামাল সমূহ (Input সমূহ) বিশেষভাবে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে।

অন্যদিকে এ সকল দ্রব্য উৎপাদনকারী ছোট ফার্মগুলি এর কাঁচামাল সরবরাহকারী সিন্ডিকেটে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর স্বীকার! পশুখাদ্যের সিন্ডিকেটের মূল হোতারা উচ্চমূল্যে ইনপুট বা পোল্ট্রিখাদ্য নিতে বাধ্য করে। নতুবা তাদেরকে এই শর্তে যাবতীয় ইনপুট সরবরাহ করে যে ‘উৎপাদিত যাবতীয় আউটপুট নির্দিষ্ট টোকেন মার্জিনের বিপরীতে সিন্ডিকেটওয়ালাদের নিকট হস্তান্তর করতে বাধ্য থাকবে।’

ফলে সরকার মৌলিক খাদ্যপণ্যসমূহ উৎপাদন বিষয়ে অতিসত্বর নীতিমালা গ্রহণ না করলে, সিন্ডিকেটের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। এ ক্ষেত্রে সরকার যে সকল পদক্ষেপ নিতে পারে। প্রথমত পোলট্রি ও পশু খাদ্য আমদানির বিষয়ে আরও লাইসেন্স দিতে পারে। সারের ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পশুখাদ্য সরবরাহ করা যাতে পারে। চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ করতে পারে। বাস্তবভিত্তিক খরচ ও মূল্য প্রাক্কলন করে তা উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী ও খুচরা বিক্রেতা সকল পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে পারে। পশুখাদ্য উৎপাদন করতে পারে। গ্রামীণ পর্যায়ে ও সর্বশ্রেণী পর্যায়ে ‘পারিবারিক উৎপাদন ও দেশের সচ্ছলতা” কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারে। ১০টি প্রধান পণ্য সনাক্ত করণ, এর উৎপাদন সম্ভাব্যতা যাচাই করণ ও ইনপুট (বিজ, সার বা কাঁচামাল) সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারে। কৃষি বিভাগের মাধ্যমে মৌসুমে ভুট্টা ক্রয় বাড়াতে পারে ও ছোট ফিডমিল গুলির মাধ্যমে পশুখাদ্য উৎপাদন করে তালিকাভুক্ত ডিলারগণের মাধ্যমে সারা বছর বিক্রি করতে পারে। বেসরকারী পর্যায়ে পশু খাদ্য উৎপাদন খরচ ও বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারে। ইচ্ছামাফিক দাম নির্ধারণ চলতে পারে না।

আমরা জানি বহুল প্রচলিত প্রবাদ ‘চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী’। সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে যারা ডাকাতি করছে তারা আসলে সারা দেশের ১৮ কোটি মানুষকে তাদের উপর মুখাপেক্ষী করে তুলতে চায়। রাষ্ট্র ছাড়া ব্যক্তির কাছে জনসাধারণ মুখাপেক্ষী হলে মানুষের অধিকার রক্ষা হয় না। তাই সরকার এভাবে সিন্ডিকেটের মুখাপেক্ষীতা হতে তার নাগরিককে রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে। সিন্ডিকেটকারীরা অনেক বড় স্বৈরাচার। তাই শুধু ডিম নয়, মানুষের মৌলিক চাহিদার বিষয়গুলি যেন গুটি কয়েক জনদুশমন সিন্ডিকেটকারীর হাতে বন্দী না হয়ে পড়ে সে বিষয়ে নজর দেয়ার এখনই সময়। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বেশ দায়িত্ব সচেতন। তাই তাদের উৎপাদনের চিরায়ত পথকে সহজ করে দিতে হবে। সাধারণের লক্ষ কোটি হাতের সমন্বিত কাজ ও উদ্যোগ উৎপাদনে বিপ্লব নিয়ে আসবে।

খাদ্য উৎপাদন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আমরা জানি সাম্প্রতিক বছরে শ্রীলঙ্কা যে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে তার অন্যতম কারণ ছিল খাদ্য উৎপাদনে প্রচলিত পদ্ধতি থেকে খানিকটা সরে আসা। আমাদের দেশে সরকারিভাবে তেমন কোন পলিসি গ্রহণ করা না হলেও কিছু অনৈতিক সিন্ডিকেট হোতার দীর্ঘমেয়াদী অনিষ্টকর পরিকল্পনা এবং রাষ্ট্রীয় চরম দুর্বলতা ও রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিদের দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে সুবিধার অংশ হয়ে যাওয়া এবং রাষ্ট্রের অন্যতম কাজ যে সাধারণ বা সকল মানুষের রাষ্ট্র হওয়া সেটা ভুলে যাওয়ার কারণে আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। উৎপাদনের প্রায় সব উপকরণ চলে যায় হাতেগোণা কিছু সিন্ডিকেটকারীর দখলে। আর নষ্ট হয়ে যায় বাজার ব্যবস্থা।

তাই সরকারকে ভাবতে হবে। উৎপাদন ব্যবস্থাকে কিভাবে আরও উন্নততরভাবে ফিরিয়ে আনা যায়। সরকারকে সতর্ক নজর রাখতে হবে সারের ক্রয় ও সরবরাহ ব্যবস্থায় কোন সমস্যা বা সমন্বয়হীনতা আছে কি না। কোন গোষ্ঠী যেন উৎপাদনের কোন মৌলিক কাঁচামাল নিজ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কাঁচামালের সংকট তৈরি করতে না পারে।

আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যখন কোন গোষ্ঠী বা পরিবার দেশের কোন মৌলিক খাদ্য দ্রব্য বা উৎপাদনের কাঁচামাল তার বা তাদের করায়ত্বগত করে, তখনই দেশে সংকট তৈরি হয়। দেশের মানুষের জীবনকে নিয়ে এ গোষ্ঠী ছিনিমিনি খেলতে থাকে। এদের কাছে মানুষের জীবন, জীবিকা বা দেশ গুরুত্বপূর্ণ নয়। এরা সেই অর্থ পাচারকারীদের দোশর যারা বিভিন্ন অনৈতিক উপায়ে মানুষের পকেট কাটে ও মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। সরকার তাই কোন একক গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে উৎপাদনের কাঁচামাল মজুদের সীমা নির্ধারণ করে দিতে পারে যেমন – ভুট্টা ও ধান, কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে যেমন পোলট্রি খামার ও ইলিশ ধরা। অন্যদিকে সরকার ধান ও ভুট্টা ক্রয় বৃদ্ধি করতে পারে এবং সময়মত প্রশাসনের নিজস্বপন্থায় খোলাবাজারে তার ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারে।

সরকার যেহেতু দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনে কাজ করার কথা তাই বাজার মনিটরিং ও শক্তিশালী করা জরুরী। আর বাজার মনিটরিং মানে শুধু কারওয়ান বাজার বা টাউনহলের মত বাজারগুলি দলবল বা ক্যামেরা নিয়ে মনিটরিং নয় বরং গোপন ক্যামেরার মনিটরিং, বিক্রেতার নয় ক্রেতারও মনিটরিং, যেমন – খুচরা বিক্রেতা কত টাকায় কিনতে বাধ্য হচ্ছে তা মনিটরিং করা জরুরি।

আসলে বাজার অর্থনীতি কোনভাবেই অলিগোপলি ব্যবস্থা হতে পারে না। এতক্ষণ যা বলা হলো তা বিদ্যমান অলিগোপলি বা গোষ্ঠী অর্থনীতির স্বরূপ। গোষ্ঠী অর্থনীতি ভেঙে দিয়ে কিভাবে বাজার অর্থনীতি বাংলাদেশে আবারও চালু করা যায় সে বিষয় ভাবা দরকার। কারণ গত ১৮ বছরে বাজার অর্থনীতি ক্রমেই এখানে দুর্বল হয়েছে। সবল হয়েছে গোষ্ঠী বা গুটি কয়েক পরিবার অর্থনীতি। পরিবার অর্থনীতি বিকাশমান মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিকে নিম্নবিত্তে নামিয়ে দিয়েছে। আর নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো তাদের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় আরো দরিদ্র হয়েছে। বিশাল সংখ্যক মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরাতে হলে, তাদের পুষ্টির ন্যুনতম চাহিদা মিটাতে হলে ও ক্ষুধা নিবারন নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে খাদ্য মজুত ও সরবরাহ বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে।

কোনো রাষ্ট্র যদি জনগণের হয়ে থাকে তাহলে রাষ্ট্রের উচিত জনগণের জন্য প্রকৃত ও প্রযোজ্য প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজার অর্থনীতি চালু করা। আমাদের একনায়কতন্ত্রিক ধরণের ধারণা হতে বের হতে হবে। আপামর জনসাধারণকে ক্ষমতায়ন করতে হবে। মধ্যবিত্ত শ্রেণির উদ্যোক্তাগণকে খুবই স্বল্প সুদে মাংস, ডিম ও মাছ উৎপাদনে অর্থায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প হাতে নিতে পারে।

সর্বোপরি সরকারের বিভিন্ন বিভাগের উচিত সমন্বিতভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা। জনগণ মনে করে সরকারি কর্মকর্তারা কাজে আন্তরিক নয়। তাদের সমন্বয়হীনতা পরিবেশকে অসহনীয় করে তুলছে। কোন কোন ক্ষেত্রে এ সরকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে উদ্দেশ্যমূলক ধীরগতি তৈরি করা হচ্ছে। জনগণ আশা করছে স্থবিরতা কাটিয়ে অতিসত্বর খাতভিত্তিক জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, যার মাধ্যমে মানুষের জীবনে স্বস্তি নেমে আসবে। আর অলিগোপলি বা সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার ব্যবস্থা গড়তে জনগণই মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। চাই সরকারের সাহসী ও জনবান্ধব উদ্যোগ।

হাদিউজ্জামান সৌরভ : ব্যাংকার ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক

 

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • শুক্রবার
  • ৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  • ২৩শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)

Archive Calendar

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930