মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজেনার প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক তেলের বাজারে। এ উত্তেজনার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৯ শতাংশ বেড়েছে।
শনিবার (০৫ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্লেষকদের বরাতে বলা হয়েছে, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দুই ব্র্যান্ড ব্রেন্ট ক্রুড এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) উভয়ের দাম গদ এক সপ্তাহে বেড়েছে। এরমধ্যে শতকরা হিসেবে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আট শতাংশ বেড়েছে। আর ডব্লিউটিআইয়ের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক এক শতাংশ। এটি চলতি বছরের মধ্যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামে এক সপ্তাহে প্রথম এত বেশি উল্লম্ফণ।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের উল্লেখযোগ্য অংশ আসে ইরান থেকে। তবে ইরান ইসরায়েলের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যে ইরানের তেলখনিদে হামলার হুমকির ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দামে এ প্রভাব দেখা দিয়েছে।
বৃটেনের বাজার বিশ্লেষক সংস্থা স্টোনএক্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েল যদি ইরানের তেল অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু বানায় তাহলে তেলের আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। তাৎক্ষণিকভাবে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতিব্যারেলে তিন থেকে পাঁচ ডলার বাড়বে।
বৃহস্পতিবার ওপেক প্লাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েল ইরানের তেল অবকাঠামোতে হামলা করলে স্বাভাবিকভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানের তেল আসা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে সাময়িকভাবে এ ঘাটতি পূরণ করতে পারলেও ওপেক সদস্য রাষ্ট্রগুলো তা দীর্ঘমেয়াদে পূরণ করতে পারবে না।
আন্তর্জাতিক বাজারে ইরান প্রতিদিন ৩২ লাখ ব্যারেল তেল পাঠায়। তা মোট বাজারের শতকরা হিসেবে প্রায় তিন শতাংশ। শতকরা হিসাবে এ পরিমাণ খুব বেশি না হলেও বর্তমানে বিশ্ববাজার স্থিতিশীল রাখতে ইরানের এ তেলের যোগান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জানা গেছে, গত প্রায় দেড় বছর ধরে বিশ্ববাজারে মন্দা চলছে। এ মন্দাভাব দূর করতে ২০২৩ সাল এবং ২০২৪ সালে তিন দফায় জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন হ্রাস করেছে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস।