বাগেরহাটের রামপালে উপ-পুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি)’র মোল্যা লুৎফর রহমানের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় রামপাল উপজেলার বিক্ষুব্ধ জনতা রামপাল প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকায়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর, রাজধানী ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশস্থলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও ও গুলির হুমকি, আওয়ামী পুলিশ লীগ হয়ে নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের উপর হামলা-মামলা, নির্যাতন ও অর্থ আত্মসাৎসহ মসজিদের সভাপতি থাকাকালীন মক্তবের প্রস্তাবিত এবং বায়নাকৃত সম্পত্তি নিজ নামে আত্মসাৎ ও অবৈধভাবে বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি।
একাধিকবার স্থানীয় মসজিদে বাৎসরিক মাহফিলে জোরপূর্বক সভাপতি হয়ে মাহফিল চলাকালীন সময়ে “জয় বাংলা ” স্লোগান দিয়ে মাহফিলের ভাবমূর্তি নষ্ট ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেন তিনি।
‘কাশিপুর এলাকার ভুক্তভোগী সরদার জাহাঙ্গীর বলেন, আমি গরীব মানুষ, আমি বিএনপিকে ভালোবাসি। ২৩ সালের ২৮ অক্টোবরে নিজের ব্যাটারি চালিত ভ্যানের ব্যাটারি বিক্রি করে বিএনপির সমাবেশে যাই। মালিবাগ মোড়ে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দালাল মোল্লা লুৎফর আমাকে দেখে চড়াও হয়। সে বলে তোরা নাস্তিক, তোরা সরকার পতন করাতে এখানে এসেছিস। তোরা যদি এই মুহুর্তে এখান থেকে চলে না যাস, তাহলে তোদের গুলি করবো।’
‘ভুক্তভোগী মোঃ সুমন জানান, আমরা জীবন বাঁজি রেখে বিএনপির সমাবেশে গেছিলাম। সেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের দালাল হয়ে লুৎফর আমাদের বলে তোরা যদি এখন এখান থেকে চলে না যাস তোদের গুলি করে মেরে ফেলবো। আমরা প্রাণভয়ে স্থান ত্যাগ করি। পরবর্তীতে লুৎফর ছুটিতে বাড়ি এসে আমাদের নানান হুমকি ধামকি দেয়। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা রামপাল মোংলার নির্যাতিত জনগণ তার ফাঁসির দাবি জানাই।’
আরেক ভুক্তভোগী শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, ইলিয়াস আহমেদ বলেন, পুলিশ লুৎফর কাশিপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি। সে মসজিদের পাশে মক্তবের বায়নাকৃত সম্পত্তি সে গোপনে দলিল করে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে সে পুলিশ লীগ হয়ে এলাকায় অনেক অপকর্ম করেছে। সে একজন নারী লোভী। এতদিন সাধারণ মানুষ জেল খাটার ভয়ে কেউ মুখ খোলেননি। আমরা মোল্যা লুৎফর রহমানের ফাঁসি চাই।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা সরদার মাহফুজুর রহমান চিক, শেখ আসাবুর রহমান, সরদার বিদার হোসেন, শেখ সাইফুল ইসলাম, শেখ মাছুদ পারভেজ প্রমুখ।মানববন্ধনে বিক্ষুব্ধ জনতা ফাঁসি ফাঁসি চাই, লুৎফর মোল্লার ফাঁসি চাই বলে স্লোগান দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোল্যা লুৎফর রহমানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে লাইন কেটে দিয়েছেন।