বিয়ে না করেই ১৭৫ জন বরযাত্রী নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ের আসর থেকে চলে গেলেন বর। গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের কালুয়ারকান্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জানাজানি হয়।
জানা গেছে, বিয়ের বর ছিলেন উপজেলার আয়ূবপুর ইউনিয়নের ঘাসিরদিয়া গ্রামের আলতাব হোসেন সরকারের ছেলে সাব্বির হোসেন সরকার (৩০)।
কনের মা সেলিনা বেগম জানান, গত এক সপ্তাহ আগে আলোচনা করে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়। সময়মতো বর তার আত্মীয়স্বজনসহ ১৭৫ জন বরযাত্রী নিয়ে আসেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ের কাবিননামায় স্বাক্ষর করবে এমন সময় বরের বড় বোন সাবিনা ও ছোট বোন নিপা বলেন, কনের আগে বিয়ে হয়েছে দুই বাচ্চা রয়েছে— এই বিয়ে হবে না।
তিনি আরও জানান, বিয়ের কার্যক্রম শেষ না করেই আসর থেকে বরের লোকজন বরকে নিয়ে চলে যায়। কনের আগে বিয়ে হয়েছে এটা জানতো তারা; কিন্তু দুই বাচ্চা আছে বলে যে অভিযোগ দিয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এ বিয়ে উপলক্ষে খাওয়া-দাওয়া ও ডেকোরেশন বাবদ আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়।
ঘটনার পরে বরের বাড়ির এলাকার চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সরকারকে জানালে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
বরের বড় বোন সাবিনা বলেন, কনের আগে বিয়ে হয়েছে আর বাচ্চা আছে এটা আমরা আগে জানতাম না। বিয়ের দিন কনের প্রতিবেশিদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারি।
চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সরকার কালবেলাকে বলেন, আমি বর পক্ষের লোকজনকে বলেছিলাম বসে মীমাংসা করতে। তারা আসেনি।
শিবপুরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়ক আসিফ, রাকিব, সুমনা ও সাহেদের কাছে কনের মা অভিযোগ করলে তারা বরের বাড়িতে গেলে বর ও বরের বাবাকে না পেয়ে বরের মামাকে থানায় নিয়ে আসেন। থানার ওসি উপস্থিত না থাকায় আগামী রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সবার উপস্থিতিতে বসে মীমাংসা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আফজাল হোসেন বৃহস্পতিবার কালবেলাকে বলেন, শিবপুরের ছাত্র সমন্বয়করা বরের বাড়িতে গিয়েছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।