বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সারা বছরের অপেক্ষার ইতি টেনে শরতের শুভ লগ্নে আগামীকাল ৯ অক্টোবর বুধবার শুরু হতে যাচ্ছে সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আয়োজকদের সকল আয়োজন প্রস্তুতি সম্পন্ন শেষ প্রান্তে এসে মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা সাজসজ্জা শেষ করেছে। দুদিন আগের থেকেই মন্দিরে মন্দিরে শুরু হয়েছে আলোকসজ্জা। নগরীতে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে তৈরি হয়েছে পূজো মন্ডপ।সূত্র থেকে জানা গেছে এ বছর খুলনা জেলায় ১১৫৬টি দুর্গাপূজার আয়োজন করেছে আয়োজকরা। আগামীকাল সন্ধ্যা থেকে প্রতিটি মন্দিরে বাজবে ঢাকঢোল কাশর দর্শনার্থীদের জমবে ভিড়। সাথে ভক্তরা মা দেবী দুর্গার উদ্দেশ্যে ভোগ নিবেদনের জন্য নানান প্রকার ভোগের ডালা নিয়ে আসবে মন্দিরে মায়ের কাছে জানাবে আত্ম মানবতার প্রার্থনা অসুর বোধিনি দূর্গা দুর্গতিনাশিনী মায়ের শ্রী চরণে। আকুতি জানিয়ে শুরু করবে পাঁচ দিনের প্রথম পর্ব মহাষষ্ঠী।
যদিও দুর্গাপূজা নিয়ে সারা দেশব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্য ছিল নানান ধরনের শংকা। তবে প্রশাসন মহলের সজাগ তৎপরতা ও সার্বিক সহযোগিতায় সকল অশুভ জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শত বছরের পূর্ব পুরুষের ভিটায় অধিকার আধিপত্য ধরে রাখার প্রত্যয় নিয়ে সারাদেশব্যাপী মহাসমরহের সাথে পালিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
পাঁচ দিনব্যাপী প্রশাসন থাকবে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় সাথে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়েত ইসলামের নেতাকর্মীরাও মাঠ পর্যায়ে থেকে সহযোগিতা করবে হিন্দু সম্প্রদায়ের এই মহতী অনুষ্ঠানের। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীরা বলেছেন অসম্প্রদায়িক দেশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামা নাশকতা সৃষ্টি করার জন্য কোন মহল যদি অন্তরালে থেকে চেষ্টা করে তাহলে আমরা তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে মূল পরিকল্পনাকারীদের জনসম্মুখে এনে তাদের উপযুক্ত বিচার করব। একই সাথে খুলনা জেলা মহানগর উপজেলা থানা পর্যায়ের পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি বর্গের সাথে মতবিনিময় সভা করে তাদের সাহস দিয়েছে এবং তাদের পাশে থেকে অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে সুসম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছে। পাশাপাশি গতকাল থেকেই প্রশাসন মহলের সকল কর্মকর্তারা পূজা মন্ডপের আশেপাশে টহল দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি মহানগর এলাকায় যতগুলো পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সে সকল পূজা উদযাপন কমিটির কর্মকর্তাগণ দলীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসন মহলের আন্তরিকতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।