সরকার আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ঢাকায় ওপেন মার্কেট সেল বা খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রমের আওতায় আলু, ডিম, পেঁয়াজ ও পটোল বিক্রি শুরু করবে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতিতে সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকি দিয়ে এসব সবজি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঢাকার অন্তত ২০টি স্থানে দুই সপ্তাহ বিভিন্ন শাকসবজি বিক্রি করা হবে। যদি পাইলট বা পরীক্ষামূলক এই প্রকল্প সফল হয়, তাহলে সবজি বিক্রির পয়েন্ট বা স্থান ও দিনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। খবর বাসসের
কৃষিসচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে আমরা প্রথমবারের মতো শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পচনশীল পণ্য, যেমন আলু, ডিম, পেঁয়াজ ও পটোল বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছি।’ তিনি গতকাল সোমবার বলেন, সরকার রাজধানীতে একটি পাইলট বা পরীক্ষামূলক প্রকল্পের অংশ হিসেবে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ভর্তুকি মূল্যে কিছু সবজি বিক্রি করবে।
কাল মঙ্গলবার ওএমএসে সবজি বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাণিজ্যসচিব মো. সেলিম উদ্দিন ও কৃষিসচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ঢাকার আবদুল গনি রোডের খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের সামনে আলু, ডিম, পেঁয়াজ ও পটোল বিক্রির এই কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে।
কৃষিসচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ওএমএসের আওতায় সবুজ শাকসবজি বিদ্যমান বাজারদরের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কম দামে বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা ও পেঁয়াজ ৭০ টাকায় এবং প্রতি ডজন ডিম ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হবে বলে জানান তিনি।
মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসকে জানান, মন্ত্রণালয় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পচনশীল আইটেম, যেমন আলু, ডিম, পেঁয়াজ, পটোল ইত্যাদি সংগ্রহ করবে। এরপর শহরের নির্দিষ্ট স্থানগুলোয় ওএমএসের মাধ্যমে বিক্রি করবে।
গত রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টার এক বিশেষ বৈঠকে ওএমএসে সবজি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বলা হয়, অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং বিভাগ, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।