বাঙালি হিন্দুধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব শ্রী শ্রী সার্বজনীন শ্যামাপূজা (কালীপূজা) ও দীপাবলি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে। শক্তি ও শান্তির দেবী শ্যামা মায়ের আগমনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে এখন আনন্দ-উচ্ছ্বাস।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে, আজ সন্ধ্যায় দীপাবলি ও মঙ্গল শিখা প্রজ্জ্বলন করে হিন্দু গৃহগুলো আলোকিত করে রাখা হবে। দিনভর উপবাসের পর রাতে অনুষ্ঠিত হবে শ্যামা মায়ের পূজা।
ধর্মীয় বিশ্বাস মতে, শ্যামা দেবী হলো শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের প্রতীক। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের লালনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ভক্তের জীবনে অবারিত কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে ধরাপৃষ্ঠে আগমন ঘটে দেবী শ্যামার। আজ জননীরূপে বাঙালীর জীবনে আবির্ভাব ঘটবে মহাশক্তি ত্রিনয়নী মা শ্যামার।
জগন্নাথপুর উপজেলার পূজা মণ্ডপগুলোতে শ্যামা পূজার আনন্দ-উৎসব চলবে টানা তিন-চার দিনব্যাপী। আজ দীপাবলী ও পূজা শেষে শুক্রবার অন্নকূট, শনিবার ভাতৃ দ্বিতীয়া ও রোববার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব। সোমবারও জগন্নাথপুরের কয়েকটি মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে।
দীপাবলী ও পূজার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার স্বর্গীয় মাতা-পিতা, আত্মীয় স্বজনের নামেও ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্বলন করবে হিন্দু সম্প্রদায়। রাতে শ্মশানে গিয়ে মোমবাতি-আগরবাতি জ্বালিয়ে স্বর্গীয় বাবা-মা ও আত্মীয় স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করবেন অনেকেই।
এদিকে শ্যামাপূজা উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। জগন্নাথপুরের অধিকাংশ পূজামণ্ডপে আনা হয়েছে নানা বৈচিত্র্য। বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে পূজামণ্ডপগুলো।
এসবের মধ্যে রয়েছে আলোকসজ্জা, ফানুস ওড়ানো, প্রদীপ প্রজ্বলন, ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠান, আলোচনাসভা, আরতি ও প্রসাদ বিতরণ।