পটুয়াখালীর বাউফলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৩ সদস্যকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। ওই সময় একজনের মাথার পাগড়ী ও মুখের দাড়িও ছিঁড়ে নিয়েছে হামলাকারীরা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমীরাবাদ বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। হামলাকারীরা ছাত্রদল কর্মী বলে জানা গেছে।
আহত তিনজন হলেন- ওজিবুল্লাহ (৩৫), মো. নাঈম আবদুল্লাহ (৩০) ও আল-আমিন (২৮)।
জানা গেছে, শুক্রবার পবিত্র জুম্মায় মাওলানা মনিরুজ্জামান ওজিবুল্লাহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ইসলামিক দল এবং তার গুরুত্ব নিয়ে নারায়াণপাশা জামে মসজিদে আলোচনা করেন। ওই সময় কনকদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে রাসেল তাকে আলোচনা করতে বাধা দেন। বিষয়টি মসজিদেই সমাপ্তি ঘটে।
কিন্তু ওই একই বিষয় নিয়ে আজ শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজ ও রাসেলের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ দল আমীরাবাদ বাজারে জামায়াতের সদস্য ওজিবুল্লাহ নাঈম আবদুল্লাহ ও আল-আমিনকে একসঙ্গে পেয়ে তাদের উপর হামলা করে এবং দফায় দফায় পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, আহত তিনজনের মধ্যে আল-আমিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহত মো. নাঈম আবদুল্লাহ জানান, তার বৃদ্ধা মা প্রাণভিক্ষা চেয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন এই শর্তে যে, তিনি আর কোনোদিন জামায়াত ইসলামী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হবেন না।
অভিযোগের বিষয়ে মিরাজের সঙ্গে তার মুঠফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. মেহেদী হাসান ও সদস্য সচিব জাকারিয়া আহম্মেদ বাউফল উপজেলা ছাত্র দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মিরাজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদল।