সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) ২০ অক্টোবর রোববার এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন , জেড আই খান পান্না একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, মানবাধিকারকর্মী - সংগঠক ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন মানুষ। তিনি অতীতেও সব ধরনের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সোচ্চার ও প্রতিবাদী ছিলেন।
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ছাত্র সমন্বয়কদের ডিবি কার্যালয়ে তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে আদালত প্রাঙ্গণে জেড আই খান পান্না সক্রিয় ছিলেন। আন্দোলনকারীদের অবৈধভাবে আটক ও ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশ-বিজিবির গুলিবর্ষণ বন্ধের জন্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করায় অগ্রণী ভূমিকাও পালন করেছেন।
বিবৃতিতে সিপিবি নেতারা আরও বলেন, ‘কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখলাম তাঁর নামে মিথ্যা হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
সবার স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করাই ছিল গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা উল্লেখ করে সিপিবি বলেছে, ‘কিন্তু এ ঘটনার মধ্য দিয়ে অনেকে মনে করছেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করার কারণেই এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।’
জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সিপিবি বলেছে, এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের জন্য যারা প্রকৃত দায়ী, তারা আড়ালে থেকে যেতে পারে। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন সিপিবির নেতারা।
রাজধানীর খিলগাঁও থানায় গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। এ মামলায় আসামি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবী জেড আই খান পান্না এ মামলার ৯৪ নম্বর আসামি।
গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলাম নামের একজনকে গুলি ও মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়। ১৭ অক্টোবর মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের।