বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় টানা ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়ার ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রোববার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চট্টগ্রাম বিভাগের দুএক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
সোমবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুএক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাজশাহী খুলনা ও বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের আগ পর্যন্ত দুদিন বৃষ্টি কম হতে পারে। এরপর বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে।
এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, লঘুচাপের ফলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে লঘুচাপ সৃষ্টির পর এর গতিপথ কী হবে, কতটা শক্তিশালী হবে তা জানা যাবে।
এর আগে আবহাওয়া অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বঙ্গোপসাগরে অক্টোবর মাসে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ ছাড়া সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
জানা গেছে, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘ডানা’। এই নামটি কাতারের দেওয়া।