লাল-সবুজ জার্সিতে খেলছেন হামজা চৌধুরী, এমন স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশের অনেক ফুটবলপ্রেমী। সেই স্বপ্ন পূরণের পথে অনেক দূর এগিয়েছে বাফুফে এবং হামজা। এরই মধ্যে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেয়েছেন তিনি। ছাড়পত্র মিলেছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের। এখন বাকি শুধু ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি ও লেস্টার সিটির অনুমোদন।
এই দুটি পেলেই লাল-সবুজ জার্সিতে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এ ফুটবলারের। এর মধ্যেই বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ফিফা ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপ- হামজা চৌধুরীকে নিয়ে পোস্ট দেওয়া হয়েছে। তার ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘নতুন বাংলাদেশের আগামীর গর্ব হামজা।’
এতে অনেক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফিফার অনুমতি পেয়েছে বাফুফে। যদিও এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নিজে থেকে বাংলাদেশের লাল-সবুজ জার্সিতে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া এ ফুটবলার। এরপর থেকে তাকে জাতীয় দলে খেলানোর প্রক্রিয়া শুরু করে বাফুফে। সেই প্রক্রিয়ায় অনেক দূর এগিয়েছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
অবশ্য বাংলাদেশ দল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি ফুটবলারদের খেলা নতুন নয়। জামাল ভূঁইয়ার পর জাতীয় দলে অভিষেক হয় তারিক কাজীর। দুজনই এখন দলের অপরিহার্য সদস্য।
ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের অন্যতম সেরা লিগের ক্লাবে খেলেন বলে হামজাকে ঘিরে বেশি আগ্রহ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) সাবেক চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটিতে খেলছেন তিনি। ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন এফএ কাপও।
হামজাকে পেতে বেশ কিছু প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়েছে বাফুফেকে। গত জুনে বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন হামজা। আগস্টে হাতে পান সেই পাসপোর্ট। এরপর পেয়েছে এফএর অনাপত্তিপত্র।
ইংল্যান্ডের হয়ে বয়স ভিত্তিক দলে খেলায় এই অনাপত্তিপত্র দরকার ছিল। এবার তার ব্যাপারে ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে জানায় বাফুফে। ফিফার অনুমোদন দ্রুত চলে আসার কথা। এবার ফিফার ফেসবুক পেজে তাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ায় অনেকের ধারণা বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য হামজার অনুমতি পাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার।