সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা কে ঘিরে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে। পিছিয়ে নেই কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলা আজ ৭ অক্টোবর বুধবার সরেজমিনে গিয়ে কথা হয়। তিতাস উপজেলা এর প্রতিমা কারিগরদের সাথে, দেখা যায় কারিগরদের দম ফেলার ফুসরত নেই। কেউ বা মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরী করছেন কেউ আবার ব্যস্ত রঙের তুলিতে প্রতিমা সাজাতে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে লোকজন আসছেন প্রতিমা নিতে মন্দিরগুলো সাজানো হচ্ছে রঙ তুলিতে এ যেন উৎসবে আনন্দে সময় কাটাচ্ছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন ছোট বড় প্রতিমা তৈরী তে বাঁশ-কাঠ আর কাদামাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমাগুলো দেখতে
ভিড় জমাচ্ছেন সনাতন ধর্মের লোকজন কেউ ক্রয় করছেন,কেউ তাদের মনের মতন করে অর্ডার দিচ্ছেন। প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা একনিষ্ঠ চিত্তে নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় মাটি লাগানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেউ কাদা তৈরি করছেন, কেউ আবার কাদা দিয়ে হাত-পা বানাচ্ছেন। বেশিরভাগ প্রতিমার কাদামাটি লাগানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
কারিগররা জানান দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও সকল ধরনের প্রতিমা আমরা তৈরি করি। তবে দ্রব্যমূল্যের সাথে তাল মিলিয়ে রং, তুলি ও সাজসজ্জার দাম বেশি হওয়ায় এবং প্রতিমা তৈরির মজুরি কম পাওয়ায় কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে শিল্পীদের। কারিগররা আরো বলেন একটা প্রতিমা তৈরী করতে খরচ হয়ে যায় কমপক্ষে পচিশ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার উপরে বিক্রি হয় পয়ত্রিশ হাজারে যা খরচ এখন পরে তাতে কারিগরদের খরচ দিয়ে তেমন আয় হয় না, বাপদাদার পেশা তাই ছাড়তে ও পারি না এছাড়াও নিজস্ব অর্থ থাকলে আয় করা যেতো সমিতি থেকে টাকা এনে তার লাভ শ্রমিক মাটি কাঠ রঙ দিয়ে তেমন একটা আয় হয় না আমাদের যদি সরকার থেকে এই সময় টায় আমাদের মতন কারিগরদের সহযোগিতা করা হতো অর্থ দিয়ে তাহলে আমরা কিছুটা লাভের মুখ দেখতাম পূজো টা আনন্দে বউ পোলাপান নিয়ে কাটাতে পারতাম।
আসছে আগামী ৯ অক্টোবর বুধবার মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজা এবং ১৩ অক্টোবর রবিবার বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গাপূজা। এর আগে আজ ২ অক্টোবর বুধবার মহালয়ার মধ্যদিয়ে দেবীপক্ষের শুরু হয়েছে পূজা।
তিতাস উপজেলায় পূজা উদযাপন পরিষদ এক সভায় জানান এবার তিতাস উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ১৪ টি পূজা মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
গুলো মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসবের যাবতীয় প্রস্তুতির সব কাজ চলছে। দুর্গোৎসব নির্বিঘ্ন করতে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল ইসলাম জানান, উপজেলার ১৪ টি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমাইয়া মমিন জানান, প্রতিটি পূজামণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। সব পূজামণ্ডপে পুলিশ ও আনসার নিয়োগের