দুবাইয়ের গ্লোবাল ভিলেজে দেখা মিলল বাংলাদেশের নাম।সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বছরের সবচেয়ে বড় ফেস্টিভ্যাল গ্লোবাল ভিলেজ। রোমাঞ্চকর আর নতুন নতুন চমক নিয়ে উদ্বোধন হয়ে ছিল গত ১৬ অক্টোবর। এটি ২৯তম আসর। ফেস্টিভ্যালের মূল মঞ্চের খুব কাছে ইউএই প্যাভিলিয়নের পাশে যৌথভাবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দেখা মিলল বাংলাদেশের।
২০১২ সালের আগে ফেস্টিভ্যালে বিনা মূল্যে অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল। তখন বাংলাদেশের অংশগ্রহণ থাকলেও পরে বিনা মূল্যে অংশগ্রহণ সুযোগ বাতিল হয়। এরপর কেবল ২০১৭ ও ২০১৮ সালে খুব ছোট পরিসরে বাংলাদেশ এই ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করে।
গ্লোবাল ভিলেজে বাংলাদেশের একক অংশগ্রহণ নিয়ে আমিরাতে বাংলাদেশের মিশনগুলো জানিয়েছে, এখানে প্রবাসী এবং দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী বা কোম্পানিগুলোর এগিয়ে আসার বিকল্প নেই। সবাই এগিয়ে এলে এবং দেশীয় প্যাভিলিয়ন থেকে কেনাকাটা করলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নিজস্ব প্যাভিলিয়ন হতে পারে।
আমিরাতে ২ বাংলাদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এইচএসসিতে সাফল্য
প্রতি শুক্রবার ও শনিবার রাত ৯টায় এখানে আকাশজুড়ে আতশবাজিতে আলোকিত করা হবে। আন্তর্জাতিক এই ফেস্টিভ্যাল প্রতি বছর অক্টোবর থেকে পরবর্তী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মোট ছয় মাস স্থায়ী হয়। এতে প্রতিদিন বিশ্বের নানা প্রান্তের হাজারো মানুষের ঢল নামে। সারা বিশ্বের পর্যটক এবং নাগরিকদের সামনে এমন ফেস্টিভ্যালে প্যাভিলিয়ন থাকার অর্থ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরার অন্যতম সুযোগ বলে মনে করেন অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী ও প্রবাসীরা।
এবারের আসরে প্যাভিলিয়ন রয়েছে ৩০টি। রয়েছে ৩,৫০০টি আউটলেট এবং ২৫০টি খাবারের দোকান। ছোট বড় সবার জন্যে ২০০টির বেশি গেমস বা রাইডও রয়েছে। এতে ৩ বছরের কম বয়সী শিশু, ৬৫ বছরের প্রবীণ ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য প্রবেশ বিনা মূল্যে রাখা হয়েছে।
গ্লোবাল ভিলেজে প্রবেশমূল্য ২৫ দেরহাম রাখা হয়েছে। তবে সপ্তাহের সরকারি ছুটির দিনে টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ দেরহাম।
দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের অংশগ্রহণে উচ্ছ্বসিত দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আশা করা হচ্ছে, বাংলাদেশিদের জন্য ভ্রমণ ভিসা প্রদান স্বাভাবিক হলে এবারের ভ্রমণ মৌসুমে প্রচুর বাংলাদেশি দর্শক টানতে পারবে গ্লোবাল ভিলেজ।