মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মাছের দিক থেকে বিএফআরআই এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে যদি গবেষণাটা না হয়, তাহলে শুধু অধিদপ্তর দিয়ে কোন কাজ হবেনা। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, যা আমাদের অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। আমরা বাঙালিরা মাছে ভাতে বাঙালি বলেই আমরা জানি। তবে আমাদের দেশে দেশীয় মাছগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা যেটা গর্ব করি আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত ভালো। আপনাদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, এক সময় এ দেশের খাল-বিল, পুকুর-জলাশয় ও নদী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর দেশি মাছ পাওয়া যেত। তাই এ দেশের মানুষকে বলা হতো মাছে-ভাতে বাঙালি। বাজারগুলোও ভরে যেত দেশি মাছে। ওই সময়ে চাহিদার তুলনায় মাছ বেশি আমদানি হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে লোকজন নদীপাড়ের হাটবাজারগুলোতে দেশি মাছ কেনার জন্য বছরজুড়েই ভিড় করত। চাহিদা সত্ত্বেও ক্রেতারা এখন দেশীয় প্রজাতির মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশীয় মাছগুলো কীটনাশকের কারণে বা আধুনিক কৃষির কারণে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। দেশীয় মাছগুলোকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষের আওতায় আনতে হবে।
আজ২৬ অক্টোবর শনিবার বিকেলে বিএফআরআই কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখানে আপনারা অনেক প্রজাতির মাছ চাষ করছেন, আমি মনে করি প্রজেক্ট আকারে নেন বা অন্য কোনভাবে মাছের স্বাদ কেমন হবে, বা সেটার জন্য মাছের রান্নার গবেষণাটাও এখানে প্রয়োজন। মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষণা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করেন বিএফআরআই এর উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মশিউর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোঃ মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার মোঃ আজিজুল ইসলামসহ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।