চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে নতুন ফিশারীজ ঘাট অভ্যন্তরে কুতুবদিয়া সন্দীপ ঘাটে মাঝি মল্লাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পরিবেশ সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা(ধরা) ও মাসিক প্রানপ্রকৃতির উদ্যোগে জোসনার আলোতে চাঁদনী রাতে নদীর গল্প বলার আয়োজন করা হয়।
গত ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধার পর চাঁদের রূপালি আলোতে যখন মাঝিমাল্লাদের অবসর সময় শুরু হয় তখন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক প্রাণপ্রকৃতি পত্রিকার সম্পাদক ও ধরা চট্টগ্রামের সদস্য সচিব কবি সংগঠক শারুদ নিজাম সবাইকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন।
সূচনা বক্তব্যে সাবেক কাউন্সিলর ও পরিবেশ সংগঠক পরিবেশ সংগঠক ও সাবেক কাউন্সিলর রেহানা বেগম রানু বলেন, মাঝি ভাইদের কাজ নদী থেকে পলিথিন সরিয়ে নেয়া, নদীতে কোন রকম বর্জ্য না ফেলা। নদী দূষণ নিয়ে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী বলেন এই সাম্পানে জীবিকা আছে ঐতিহ্য আছে এ নদী রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের।
তারপর নদী দূষণ নিয়ে গানে গানে গল্প করেন সংগীতশিল্পী অভি কিম্বেল ও তার দল। গান করেন রেহানা বেগম রানু, সাইমুর রহমান এবং একজন নৌকার মাঝি মো: রুবেল। কথা বলতে আসেন সংবাদকর্মী ও পরিবেশ সংগঠক সরোয়ার আমিন বাবু বলেন এই কর্ণফুলী নদীকে জাতীয় নদী হিসেবে ঘোষণা করার আমরা কাজ করছি আপনারা মাঝি ভাইয়েরা ও সাধারন মানুষ এগিয়ে আসলে নদী দূষন কমবে।
সমাজ সংগঠক ও পরিবেশ কর্মী সাঈদ মিলকি বলেন নদীতে পলিথিনে ভরে যাচ্ছে। নদীর নাব্যতা হারাচ্ছে এর জন্য ইলিশ হারাচ্ছে। বর্জ্য ও পানি দূষণ নিয়ে বক্তব্য রাখেন তরুণ অধ্যাপক ড. ইকবাল সরোয়ার নদী কি? আল্লাহর সৃস্টি যেখানে প্রবাহ আছে। শুরু, প্রবাহ ও শেষ যেখানে। কর্ণফুলীসহ পৃথিবীতে ৬৬০ নদী আছে। সব ময়লা আবর্জনা এই নদীতে ফেলছে।নদী দূষিত হচ্ছে। সচেতনতা বাড়াতে হবে প্রত্যেকের নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে। গানে গল্প কথায় গাঁথা অনুষ্ঠানটা অনেক মাঝিমাল্লা এবং সাধারণ মানুষের কাছে উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিপনি বিতান প্রজন্মধারা আহ্বায়ক ফরমান উল্লাহ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজাল্ট করিম সেন্টু, সমাজকর্মী রাবেয়া খাতুন শিমুল, আরিয়ানা ইসলাম, জুলিয়ান দি কস্তা, মাঝি সরদার জাবেদ আলম প্রমুখ ।