নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে সুন্দরবনে মাছ ধরা নিয়ে বাগেরহাটের শরণখোলার দুই দল জেলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক পক্ষের পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের নাংলী টহল ফাঁড়ির অফিস চত্বরে এঘটনা ঘটে।
আহত জেলেরা হলেন শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের তুহিন কাজী (৩৫), মো. আজিম (২৫), নান্না আকন (৫৮), মো. হুমায়ূন (৪২) ও শহীদুল ইসলাম (৩২)। ওইদিন রাতে আহতদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে সুন্দরবনে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উত্তর রাজাপুর গ্রামের আলী হোসেন ও ধলু বয়াতীসহ একলদ জেলে গোপনে নাংলী টহল ফাঁড়ির নিশানবাড়িয়া খালে জাল পেতে মাছ শিকার করেন। এই খবর জানিয়ে দিলে বনের খাল থেকে সেই জাল জব্দ করেন বনরক্ষীরা। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে আলী হোসেন, ধলু ও তাদের সঙ্গী জেলেরা মেরে আহত করেন প্রতিপক্ষের ওই পাঁচ জেলেকে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
শরণখোলা থানার ওসি মো. শহীদুল্লাহ জানান, সুন্দরবনে জেলেদের মারামারির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ও মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য আহরণে ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে ১৩ অক্টোবর থেকে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সুন্দরবন, বগোপসাগরসহ দেশের সকল নদ-নদী ও উন্মুক্ত জলাশয়ে ইলিশসহ সব ধরণের মৎস্য আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।