বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বীরগঞ্জের ৮নং ভোগনগর ইউনিয়ন বিএনপি’র উদ্যোগে গণসমাবেশ ভারতে নিয়ে পতিতালয়ে স্ত্রীকে বিক্রি; ফিরিয়ে আনলো যশোর পিবিআই র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়; পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট যশোরে ডা. শামারুখ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল খালেককে জেল হাজতে প্রেরণ; অগ্নিসংযোগ মামলায় একে একে আটক ২০, ভিন্ন দাবি রাজশাহী জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুষ ছাড়া মিলবেনা খতিয়ান-নকশা জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন’র ডাইরেক্টর হলেন কৃষিবিদ শামীম সাংবাদিক হামিদুল ইসলাম সফল সংগঠক হিসেবে বিটিএসএফ সম্মাননায় ভূষিত শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের নারী সদস্যদের স্বামীদের নিয়ে পুরুষ সংবেদনশীল কর্মশালা জগন্নাথপুরে মসজিদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার

পাঁচ সন্তান নিয়ে গরু-ছাগলের সঙ্গে রাত কাটে দম্পতির

সুন্দরবন-২৪ ডেস্ক / ২৭ পড়া হয়েছে
আপডেট মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪

পাঁচ সন্তান ও গরু-ছাগল নিয়ে পলিথিনে মোড়ানো ঝুপড়িতে বসবাস সঞ্জিত বিশ্বাস (৩৮) ও শম্পা রানী বিশ্বাস (৩৫) দম্পতির। অন্যের বাড়িতে ১৪ বছর কাটানোর পর অবশেষে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে এক কোণে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে তাদের। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টি হলেই গবাদিপশুর সঙ্গে নির্ঘুম রাত কাটে ওই দম্পতির। এভাবেই বছর কেটে গেছে তাদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সঞ্জিত বিশ্বাস নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বড়দল গ্রামের বাসিন্দা। জায়গা জমি না থাকায় অন্যের বাড়িতে পরিবার নিয়ে এক যুগেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন। সেখানেই মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছিল তাদের। এক বছর আগে ওই দম্পতিকে সেখান থেকেও বের করে দিয়ে অন্যত্র কাজ খুঁজতে বলেন বাড়ির মালিক। তবে এ যেন আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হয়েছিল ওই দম্পতির। সেখান থেকে বের হয়ে কোথায় যাবে ভেবে পাচ্ছিলেন না তারা। অবশেষে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে জায়গা হয়। সেখানে ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে পাঁচ সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন এই দম্পতি।

সরেজমিন গজারমারী আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা গেছে, ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৪ পরিবার সরকারি ঘর পেয়েছে। বাসিন্দাদের পাশেই ফাঁকা জায়গায় পলিথিনে মোড়ানো ঝুপড়ি ঘর তৈরি করেছেন ওই দম্পতি। সেখানে পাঁচ সন্তান ও গরু-ছাগল নিয়ে বসবাস করছেন তারা। এ ছাড়া কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ভিজে গেছে সবকিছু। ঝুপড়ি ঘরের এক কোণে রয়েছে একটি চৌকি। আরেক পাশে রাখা হয়েছে গরু-ছাগল রাখার জায়গা।

সঞ্জিত বিশ্বাস বলেন, এখন দিনমজুরের কাজ করছি। আগে অন্যের বাড়িতে ১৪ বছর কাটিয়েছি। সেখানে নানা কথা শুনতে হতো। একপর্যায়ে বের করে দেন বাড়ির মালিক। কোথাও জায়গা না পেয়ে সরকারি ঘরের পাশে আশ্রয় নিয়েছি।

সঞ্জিত বিশ্বাসের স্ত্রী শম্পা রানী বিশ্বাস বলেন, কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। সরকার অনেককে ঘর দিয়েছে কিন্তু আমরা পাইনি। এত কষ্ট করে চলছি কারও সহযোগিতা পাই না। বৃষ্টি হলে ঘরে পানি পড়ে। সন্তানদের নিয়ে চলাফেরা খুবই কষ্ট।

গজারমারী আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘরের বাসিন্দা লিমা আক্তার বলেন, জমি বা ঘর কিছুই নেই তাদের। তাই এখানে এসে ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে থাকছেন। বৃষ্টি হলেই ওপর থেকে ঘরের ভেতর পানি পড়ে। সরকারি সহযোগিতা পেলে কিছুটা উপকার হবে সঞ্জিত-শম্পা দম্পতির।

ভারপ্রাপ্ত কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, কলমাকান্দা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ওই পরিবারের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার
  • ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১২ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  • ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)

Archive Calendar

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930