বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা গতবছরের চেয়ে বেড়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী জানান, ২০২৩ সালে যেখানে গড় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৬৫, সেখানে এবারে গড় পাসের হার ৮১ দশমিক ৮৫।পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর অরুণ কুমার গাইন বলেন, হিসেবে বিগত দিনের থেকে ফলাফল অনেক ভালো হয়েছে এবার। আর এজন্য শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রচেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি জানান, গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩ হাজার ৯৯৩ জন, আর এবারে পেয়েছে ৪ হাজার ১৬৭ জনে। যা গত বছরের থেকে প্রায় দুইশতটি বেশি।
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন জানান, বিগত দিনের ধারাবাহিকতায় এবারেও ছেলেদের থেকে মেয়েরা ভালো ফলাফল করেছে। যেখানে পাস হারের ব্যবধান ১১ দশমিক দুই শতাংশ। তবে তুলনামূলকভাবে গতবারের থেকে এবারে ছেলেরা কিছুটা ভালো করেছেন। গত বছরে ছেলেদের পাশের হার ৭৫ দশমিক ৪৬ ছিল সেখানে এবারে পাশের হার ৭৬ দশমিক ১৬।
এদিকে ফলাফল ও জিপিএ-৫ এর দিক থেকে এবারে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। এ বছর বিজ্ঞান থেকে মোট ২ হাজার ২৯২ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে, যার মধ্যে ১ হাজার ৩৪৩ জন মেয়ে পেয়েছে জিপিএ-৫। এছাড়া মাত্র ৯৪৯ জন ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে।অপরদিকে মানবিক বিভাগ থেকে মোট ১ হাজার ৫৮২ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে, যার মধ্যে ১ হাজার ২৮১ জন মেয়ে এবং মাত্র ৩০১ জন ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২৯৩ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে, যার মধ্যে ১৮০ জন মেয়ে এবং ১১৩ জন ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে।এদিকে তিন বিভাগে পাসের হার মিলিয়ে দেখা যায় মেয়েরা ৮৭.১৮ শতাংশ পাস করেছে, যেখানে ছেলেদের পাসের হার ৭৬.১৬। আর সংখ্যায় হিসেব কষলে ২৯ হাজার ৭২২ জন মেয়ে এবং ২৪ হাজার ৩৬৭ জন ছেলে পাস করেছে।
উল্লেখ্য এ বছর ১৩৭টি কেন্দ্রে ৩৪২টি কলেজের ৬৭ হাজার ১১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহণ করে ৬৬ হাজার ৮৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৫৪ হাজার ৮৯ জন। আর মোট কলেজের মধ্যে ২১টির শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। তবে কোনো কলেজ নেই যেখানে কেউ পাস করেনি।এছাড়া এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬ জন মেয়ে ও ২৭ জন ছেলে পরীক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময়ে অসদুপায় অবলম্বন করায় বহিষ্কার করা হয়েছে।