একান্ত অনুভূতি : নাজমুল হাসান অপু-
বিদায় শব্দটি মনে যেনো দুঃখ অনুভব করিয়ে দেয়। তাছাড়া বিদায়ের কারণে অনেক কাছের মানুষ একে অপরকে থেকে দূরে চলে যায়, তখন নিজেকে যেনো অনেকটা অসম্পূর্ণ বলে মনে হয়। কিছুর অস্তিত্ব নেই যেনো আজ, নেই আজ কোনো মান অভিমান সময় হলো অনেক এবার তাহলে বিদায় নেওয়া যাক| তেমনি এক বিরহের সুর গেথে দিয়ে মনে বাংলাদেশ ক্রিকেট আকাশ থেকে বিদায় নিচ্ছেন বিশ্ব সেরা অলরাউণ্ডার বাংলা ক্রিকেটের রাজপুত্র সাকিব আল হাসান।
আমি ছোটবেলা থেকেই সাকিব আল হাসান এর ভক্ত খেলার ছিলাম। গত ১৮ বছর সে আমাদের দেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। তার এই ভাবে অবসর নেওয়াটাকে আমি মেনে নিতে পারছি না খুব খারাপ লাগছে মনে পড়বে সব সময়। একজন বিশ্ব সেরা ক্রিকেটার দেশের রাজনীতিক টানাপোড়নের কারণে এমন সাদামাটাভাবে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে বিদায় জানাবে ২২ গজের প্রিয় জায়গাটিকে তায়েফ ভাবতেও অভবাক লাগে। আমি সত্যি হতবাক! এই কোন সাকিব-কে দেখছি? যার একা ব্যটিং কিংবা বোলিং এর কারণে যেখানে পুরো একটি দলের জয়-পরাজয় নির্ধারন হতো, সেই সাকিব আর হাসান এভাবে নিরবে চলে যাবে। হয়ত অনেকেই বিষয়টি স্বাভাবিক নিচ্ছেন কিংবা অনেকে আমার মতো মানতে পারছেন না। এটা কোন বিদায়! আমি দেশের চলমান রাজনীতি নিয়ে কোন কথা বলবো না, তবে আফসোস লাগে একজন বিশ্বসেরা অলরাউণ্ডার এমনভাবে চলে যাবে সেটা নিয়ে অবাক লাগে। না তাকে কোন বিদায় সংবর্ধনা না আনুষ্ঠানিক ফুলের শুভেচ্ছা। যে তার ক্রিকেট ক্যরিয়ারে নিজেকে সর্বোচ্চ উজার করে দিয়ে গেছে দেশ আর দেশের মানুষকে ভালোবেসে আর সেই মানুষটি কিনা এমন বিদায় নেবে। তাই তো কবির ভাষায় বলতে হয়, যে দেশে গুণীর কদর নেই সেদেশে গুণী জন্মাতে পারে না। জানি আগামীর বাংলাদেশে এমন একজন সাকিব আল হাসানের আগমণ হবে না, তবে তার এই বিদায়বেলার করুণ স্মৃতির দগদগে ঘা সমগ্র জাতিকে বয়ে বেড়াতে হবে সবসময়।
প্রিয় সাকিব আল হাসান সেই বসন্তে যতটা ভেঙেচুরে ভালোবেসেছিলে এই দেশকে, বিদায় বেলায় ঠিক ততটাই অভিশাপ দিয়ে যেও। কারণ তুমি ভুল সময়, ভুল মানুষের সাথে পথে দেখা হয়েছে। তারপরও দোয়া আর শুভ কামনা থাকবে এই বিদায় বেলা। যেখানে ই থাকো আর যেভাবে ই থাকো ভাল থেকো আর দেশের ভালবাসায় গুছিয়ে রেখো নিজেকে।
বিদায়ের ডাক ডাকে তোমার দোষে, টান না রেখেই বিদায় দাও স্তব্ধ হয়ে। বিদায় বেলায় অশ্রু ঝরে,মুক্ত! বিদায় বন্ধু বাংলা ক্রিকেটের রাজপুত্র!