বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজীব নাজির। আজ বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, গতকাল পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কোনো ইলিশ রপ্তানি হয়নি। তবে এ স্থলবন্দর দিয়ে ২ হাজার ৪০০ টনের বেশি ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন আছে। আজ থেকে ইলিশ রপ্তানির হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
অন্য বছরের মতো এবারও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম চালানে ৮০০ কেজি ইলিশ রপ্তানি করছে ঢাকার সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ ও স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ। তারা জানায়, প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার ১৮০ টাকা (১০ মার্কিন ডলার) দরে রপ্তানি হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রথম চালানে আট টন ইলিশ রপ্তানি করছে। ইলিশ ছাড়করণে বন্দর ও কাস্টমসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের কাজ করেছে বাংলাদেশ লজিস্টিক নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
বাংলাদেশ লজিস্টিকের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছি। আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত রপ্তানি প্রক্রিয়া চলমান আছে। প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলারে রপ্তানি হচ্ছে।’ ইলিশের আকারের বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে। এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ২ হাজার ৪০০ টন আর একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে। গতকাল বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের প্রধান নিয়ন্ত্রককে চিঠি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে এসব ইলিশ রপ্তানি শেষ করার বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আছে।
বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা বলেন, ২০১২ সালে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হয়েছিল। পরে আবার রপ্তানি শুরু হয়। তবে বিশেষ বিবেচনায় শুধু দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইলিশ রপ্তানি হয়।
সূত্র: প্রথম আলো।।