রাসুল (সা.)- এর অবমাননার প্রতিবাদ মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও বিজেপির সাংসদ নিতেশ রানেকে গ্রেপ্তার করার দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ গত আগস্ট মাসে রাসুল (সা.)-এর নামে জঘন্য কটূক্তিমূলক বক্তব্য দেন। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মহারাষ্ট্রের মুসলিম জনতা। রামগিরির বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে ৫০টিরও বেশি মামলা হয়। রামগিরির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে একের পর এক মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য দিতে থাকেন মহারাষ্ট্রের বিজেপির হিন্দুত্ববাদী সাংসদ নিতেশ রানে।
এক বক্তব্যে নিতেশ হুমকি দিয়ে বলেন, রামগিরি মহারাজের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে, মসজিদে ঢুকে তাদের পেটানো হবে। নিতেশের বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার তাদের কারও বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এবং তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে নিখিল ভারত মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের নেতা ও সাবেক সাংসদ ইমতিয়াজ জলিলের নেতৃত্বে পরিচালিত ‘মার্চ টু মুম্বাই’ কর্মসূচির পদযাত্রা গতকাল আটকে দেয়া হয়। আমরা রামগিরি মহারাজ ও নিতেশ রানেকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
হেফাজত নেতারা আরও বলেন, রামগিরি মহারাজ ও নিতেশ রানেকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ইন্ডিয়ায় তোলপাড় হয়ে গেলেও বাংলাদেশের অধিকাংশ মিডিয়া রহস্যজনকভাবে চুপ থেকেছে। আমরা এই নীরবতারও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তারা বলেন, পৃথিবীর কোথাও রাসুল (সা.)-এর অবমাননা হলে মুসলমানরা চুপ করে বসে থাকতে পারে না। এই ইস্যুতে সমগ্র উম্মাহ এক হয়ে প্রতিবাদে জেগে ওঠে।
সুতরাং, মুম্বাই হাইকোর্টের এক আদেশে ফেসবুকসহ সমস্ত স্যোশাল মিডিয়া থেকে রামগিরির কটূক্তির ভিডিও সরিয়ে ফেলার যত চেষ্টাই করা হোক, মুসলমানদের এ বিষয়ে অজ্ঞাত রাখা যাবে না। আমরা খবরাখবর রাখছি এবং প্রতিবাদে সোচ্চার রয়েছি। একই সঙ্গে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর হিন্দুত্ববাদীদের অব্যাহত নির্যাতন নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের জনগণের এই উদ্বেগ আমলে নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।