মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নটি এক সময় মেঘনার করালগ্রাসে সম্পুর্ন বিলীন হয়ে যায়। বিলীন হওয়ার পরে মেঘনার বুকে নতুন করে জেগে উঠেছে চর। জেগে উঠা ওই চরের প্রায় ১৪ হাজার একর জমি যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তাদের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ভোগদখল করেন। যার ফলে খাসজমি ছাড়াও বঞ্চিত হন শত শত রেকর্ডিও মালিকগন। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর পরই নতুন চর নামে পরিচিতি ওই চর ভোগদখল নিয়ে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।
এই জমি নিয়ে রয়েছে নানামুখী অভিযোগ। সম্প্রতি চরের জমি স্ব স্ব রেকডিও মালিকপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে একাধিক মানববন্ধন করেছেন গোবিন্দপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মিজান মাঝি এবং বিএনপির সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান তালুকদার এর নেতৃত্বে অনেকে। তারা ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের কাছে লিখিত স্মারকলিপিও দিয়েছেন। তবে মানববন্ধনকারীদের কে উল্টো ভূমি খেকো এবং দস্যু হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির আরেকটি অংশ। তাদের দাবী মানববন্ধনের নেতৃত্বদানকারীরা নিজেরাই ওই চর দখল করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এবং প্রলোভন দেখিয়ে মানববন্ধনে এনে নিজেদের জাহির করছেন নতুন দখল বাজরা। তাদের মতে সাবেক ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে বর্তমান ভূমিদস্যুদের মানববন্ধন হাস্যকর এবং মানুষকে ধোকা দেওয়া। যা এক ধরনের প্রতারণার শামিল। এও বলেন, মানববন্ধনকারী নেতারা আওয়ামী লীগের শাসনামলের দখলবাজ ভূমি দস্যু নওশাদ, কামাল হাওলাদার (টুনিয়া) আজিজ মাঝি ওরপে বাদী আজিদা, মানিক ডাকুয়াসহ আরো অনেকের সাথে আঁতাত করে ভোগদখল করে যাচ্ছেন।
মানিক ডাকুয়া এক সময় বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন ২০১৮ সালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জামাল মোল্লা ও বেল্লাল মোল্লার হাতে ফুলের তোরা দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন, তিনি পুর্ব নতুনচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
এই বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জের ইউএনও মোঃ নেছার উদ্দিন এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ ইদ্রিস, সুলতান আহমদ ও শাহিন সরদারসহ একাধিক ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। তবে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের না পাওয়ায় সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব হয়নি।