ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, গফরগাঁও থানা ও পাগলা থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে বাংলাদেশ পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির প্রচেষ্টাকারি দুজনকে গ্রেপ্তার ও ভুয়া সীল উদ্ধার করা হয়।
গত ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় দিনের কার্যক্রম চলাকালীন ‘ড্র্যাগিং’ ইভেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লক্ষ্য করেন যে, কয়েকটি পিইটি ফরমে তুলনামূলক বড় ফ্রন্ট ব্যবহার করে তৈরীকৃত ‘কৃতকার্য’ সীল প্রদান করা হয়েছে।
তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদেরকে ইভেন্ট থেকে সরিয়ে পৃথক স্থানে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মোট ০৮ জন প্রার্থীর মধ্যে সকলেই জিজ্ঞাসাবাদে জানান যে, অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি পুলিশ লাইন্সের বাউন্ডারির বাইরে থেকে তাদেরকে ১৬০০ মিটার দৌড় ইভেন্টে অংশগ্রহণ না করেই ‘কৃতকার্য’ মর্মে সীল প্রদান করার প্রলোভন দেখান এবং অর্থের বিনিময়ে সকলের ফরমে ‘কৃতকার্য’ সীল প্রদান করেন।
এই ০৮ জন প্রার্থীকে তৎক্ষণাৎ টিআরসি নিয়োগ পরীক্ষায় ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার দিকনির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম পাগলা থানার এসআই (নিঃ) সাইমন চাম্বুগং ও গফরগাঁও থানার এসআই(নিঃ) তাইজুল এর সহযোগিতায় উক্ত সীল প্রস্তুতকারী ও প্রদানকারী মফিজুল হক ওরফে এবাদুল (৫৪), পিতা-মৃত মোবারক হোসেন, মাতা-মৃত সুরুজ বানু, সাং-লংগাইর, থানা-পাগলা, জেলা-ময়মনসিংহকে গফরগাঁও থানাধীন কলেজ রোড আলাল মার্কেটের সামনে থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান যে, তার প্রতিবেশী রাকিবুল ইসলাম ইমন (১৯) পিতা-আজহারুল ইসলাম, মাতা-মাহমুদা আক্তার, সাং-মশাখালী থানা-পাগলা, জেলা-ময়মনসিংহ তাকে একটি ‘কৃতকার্য’ সীল তৈরী করতে বললে তিনি কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন পুলিশ ক্লাব রোড পোষ্ট অফিস সংলগ্ন টুটন রাবার ষ্ট্যাম্প নামক দোকান থেকে একটি সীল তৈরী করেন এবং উক্ত প্রার্থী ইমনের সহযোগিতায় ০৮ জন প্রার্থীর পিইটি ফরমে ‘কৃতকার্য’ সীল প্রদান করেন।
পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা শাখা কর্তৃক উক্ত রাকিবুল ইসলাম ইমন কে গফরগাঁও থানাধীন গফরগাঁও পৌরসভাস্থ জামতলা মোড় নামক স্থানে টাঙ্গাইল সুইটস রেস্টুরেন্ট এর সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার দেখানো মতে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানাধীন পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন সিআইডি অফিসের সামনে থেকে উক্ত ‘কৃতকার্য’ লেখা সীলটি উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।