যশোরে কুয়েত প্রবাসী মেহের আলী হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, হত্যায় ব্যবহৃত ১টি পালসার মোটরসাইকেল, ১টি ওয়াকিটকি এবং ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, যশোরসদর উপজেলার বাদিয়াটোলা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে তারেক হোসেন (২২), সদর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম দুলালের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২১) এবং সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন(২৩)।
মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, যশোর বাদিয়াটোলা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মেহের আলীকে ৯ই আগস্ট রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীরা গুলি করে হত্যা করে। এই সংক্রান্তে মেহের আলীর পিতা বাদী হয়ে গত ১২ই আগস্ট এজাহার দায়ের করলে কোতয়ালী মডেল থানায় দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়, যার নং-১৩।
এরপর মামলার তদন্ত পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে এসআই মফিজুল ইসলামের উপর। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১১ই নভেম্বর বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তার নেতৃত্বে নাটোর সিংড়া থানার ভুমি অফিস এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামী তারেক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে সোমবার দিবাগত গভীর রাত ১ টার দিকে যশোর নলডাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ভাড়া করা কিলার সাজ্জাদকে এবং মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে সদর উপজেলার নতুন খয়েরতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রিয়াজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় রিয়াজুদ্দিনের কাছ থেকে ৪ রাউন্ড গুলি, ওয়াকিটকি, হত্যার মিশনে ব্যবহৃত ১টি পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, নিহত মেহের আলীর নিজ এলাকায় তার প্রতিপক্ষ প্রবাসী শহর আলী ও তার ছেলে হাসানদের সাথে দীর্ঘ শত্রুতার কারণে মেহের আলী সরকার পতনের পর শহর আলীর বাড়িতে আক্রমনের হুমকি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদেশ থেকে হত্যার পরিকল্পনা করে ভাড়াটিয়া খুনি আকাশ ও সাজ্জাদকে ১ লক্ষ টাকা চুক্তি করে তারেক এবং রিয়াজ ও রকির সহযোগীতায় গুলি করে হত্যা করে মেহের আলীকে। উল্লেখ্য যে, এর আগে আকাশ ও রকিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।