ঢাকাসহ দেশের ১৫ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাই এ সব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় না নেওয়া পর্যন্ত এই বৃষ্টি চলবে বলে অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় আবহাওয়া অফিস। সংস্থাটি বলছে, থেমে থেমে বৃষ্টি চলতে পারে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ভারি বৃষ্টির পর কমে আসতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ।
রাজধানীতে বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে কড়া রোদের পর দুপুরে আকাশ কালো করে নামে বৃষ্টি। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টির মাত্রা কমে এলেও বৃষ্টি থেমে নেই।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, আগামী দুদিন ভারি বৃষ্টির পর বৃষ্টির মাত্রা কমে আসবে। তবে একেবারে বৃষ্টি থেমে যাবে না। থেমে থেমে চলতে থাকবে।
এই বৃষ্টি কবে যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এই বৃষ্টি হচ্ছে। সাধারণত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের পর এই বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেয়। এরপর বৃষ্টি কমে আসবে। পাশাপাশি উত্তরের হিমেল হাওয়া দেশে প্রবেশ করতে শুরু করবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে।