শরণখোলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তার অফিস কক্ষে তালা দিয়ে দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখলেন একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। রবিবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১০ টার দিকে উপজেলার উত্তর খোন্তাকাটা মুকুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা গিয়ে তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে ঐ প্রধান শিক্ষককে দুই ঘন্টা পরে মুক্ত করেন। বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষিকা নাজমা বেগম বলেন, প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম তাকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে তার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় প্রধান শিক্ষক লোক মারফত মোবাইল ফোনে প্রবাসী স্বামীর কাছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের চরিত্র হননের দূর্নাম করতে থাকেন। এ বিষয়টি নাজমা বেগম রবিবার সকালে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বসে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের কাছে জিজ্ঞাসা করলে প্রধান শিক্ষক তাকে অপহরণসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন।
এতে তিনি উত্তেজিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা লাগিয়ে ডাকচিৎকার দিয়ে স্থানীয় মানুষ জড়ো করেন বলে নাজমা বেগম সাংবাদিকদের জানান। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, সহকারী শিক্ষিকা নাজমা ষড়যন্ত্র করে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মান সম্মান ক্ষুন্ন করতে তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
শরণখোলা উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র রায় বলেন, প্রধান শিক্ষককে তালাবদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশ প্রশাসনের লোকজন বিদ্যালয়ে গিয়ে অবরুদ্ধ শিক্ষককে মুক্ত করেন। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে ১০ দিনের ছুটিতে পাঠানোসহ সহকারী শিক্ষিকা নাজমা বেগমকে ডেপুটিশনে পার্শ্ববর্তী ১০১ নং জেবিকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়েছে। উভয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।