সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালু অবৈধভাবে বিক্রি বন্ধে যৌথ বাহিনীর একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসময় বালু বিক্রির দায়ে আলমাছ প্রামাণিক (৩২) নামের ১ জনকে আটক, ৪টি ট্রাক ও একটি ভেকু মেশিন জব্দ করা হয়।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় শাহজাদপুর উপজেলার বাজিয়ারপাড়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করে।
জানা যায়, সরকারি নিয়মনীতি অমান্য করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি না নিয়েই দীর্ঘদিন যাবৎ বালু সম্রাট আনিস প্রামাণিক এই বালু মহাল থেকে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার বালু বিক্রি করে চলেছে।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর উল্লাপাড়া ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রেদওয়ানের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। এসময় থানার উপ-পরিদর্শক শারফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিল।
যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বালু কাটা ও পরিবহনে জড়িতরা পালিয়ে যায়। পরে বালু বিক্রির কোন বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পারায় মূল অভিযুক্ত আনিস প্রামাণিকের ভাই আলমাছ প্রামাণিককে আটক করা হয়। সেই সাথে বালু পরিবহন কাজে ব্যবহৃত ৪টি ট্রাক ও একটি ভ্যাকু মেশিন জব্দ করা হয়।
পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ মুশফিকুর রহমান।
এই বিষয়ে মেজর রেদওয়ান বলেন, অভিযানের সময় মূল অভিযুক্ত আনিস প্রামাণিককে পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে তার ভাই আলমাছ প্রামাণিককে আটক করে থানায় পাঠানো হয়েছে। অবৈধভাবে বালু বিক্রির দায়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আনিস প্রামাণিক উপজেলার দরগাহর চরের চান প্রামাণিকের বড় ছেলে আনিস প্রামাণিক। তিনি একসময় দরগাহপাড়া করতোয়া নদীর খেয়া ঘাটে নৌকার মাঝি ছিল। পড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে বিগত সরকারের সময়ে শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালুর ব্যবসা ও বাংলা পেট্রোলের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
বালুর একচ্ছত্র অধিপতি হওয়ায় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচিতে তিনিই অর্থায়ন করতেন। তবে জনমনে এখন প্রশ্ন বিগত সরকারের দোসর হয়েও আওয়ামী লীগ নেতা আনিস প্রামাণিক কোন ক্ষমতাবলে এখনও তার এই অবৈধ ব্যবসা অব্যাহত রেখেছেন।