সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। লক্ষ্মীপুর ও যাত্রাবাড়ীতে হত্যার ঘটনায় এ অভিযোগ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এ অভিযোগ দাখিল করা হয়।
জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাবস্থায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন কুতুবখালী কাজলা পেট্রোল পাম্পের পাশের পকেটগেটে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় দনিয়া কলেজের বিএ (পাস) কোর্সের ছাত্র শহীদ সাকিব হাসান। এছাড়াও গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর তেমুহনি এলাকায় গুলিতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র শহীদ ওসমান পাটওয়ারী ওরফে ওসমান গণি।
এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির তত্ত্বাবধানে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) (এ), ৩(২) (গ), ৩(২) (এইচ), ৪(১) এবং ৪(২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। শহীদ সাকিব হাসানের বাবা মো. মর্তুজা আলম এবং শহীদ ওসমান গণির বাবা মো. আব্দুর রহমান পৃথক মামলা দুটি দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হত্যা-গণহত্যায় ঘটনায় এখন পর্যন্ত ট্রাইবুনালে ৫১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। দুটি ছাড়া প্রত্যেকটি আবেদনেই প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
১৮ জুলাই কমপ্লিট শার্ট ডাউন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে কলেজ শিক্ষার্থী সাকিব হাসান এবং ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে ওসমান গণি হত্যার বিচার চেয়ে শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করে আরও দুটি অভিযোগ দাখিল করা হয় বলেও জানান তিনি। এছাড়াও ৪ আগস্ট মিরপুর ১০ নম্বরে বিএফ শাহিন কলেজের শিক্ষার্থী আহনাফ নিহতের ঘটনায় আরেকটি অভিযোগ জমা পড়েছে ট্রাইব্যুনালে। ছেলে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন তার মা। এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, আন্দোলনে জড়িত যে কোনো শিক্ষার্থী অভিযোগ ও তথ্য জমা দিতে পারবেন ট্রাইব্যুনালে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চত করা হবে শিক্ষার্থীদের।