বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নে সরকারি জমি দখল করে বিএনপির কার্যালয় নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মাদি মোল্লার দোকান সংলগ্ন এলাকায় এ অফিস করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে দোয়া ও মোনাজাত করে ওই অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করার একটি ছবি গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর পরপরই রোববার রাতে ওই জমিতে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে দখলে নিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন কাজ বন্ধ করে দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মাদি মোল্লার দোকান সংলগ্ন এলাকায় গত রোববার থেকে বিএনপির যে অফিসটি করা হচ্ছে সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক নেতারা। অফিস কার্যক্রমের স্থাপনের ওই চিত্রটিতে দেখা যায়, এর সঙ্গে জড়িত রায়পাশা-করাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মনিরুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম সিকদার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু বকর মল্লিক, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার আবু। বিএনপি অফিসের নির্মাণ কাজের জন্য দোয়া মিলাদে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন।
জানতে চাইলে রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের নেতৃত্বে জমিটি দখল হয়েছে। তার সঙ্গে তার ভাইও রয়েছেন।
তবে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জমি দখলদার আবুল কালাম সিকদার জানান, তিনি জমি দখলের বিষয়ে কিছুই জানেন না। আমিন চেয়ারম্যান জানতে পারেন। তার সঙ্গে আলাপ করেন।
বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন জানান, কড়াপুরের ধর্মাদি বিএনপির অফিস করার জন্য জায়গা নিয়েছিল। অফিসের নির্মাণকাজের দোয়া মোনাজাতে তাকে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে জানতে পারেন যে সেটা সরকারি জায়গা। এ জন্য ওই স্থানে অফিস না করতে নিষেধ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি জানতাম না। এখন নিজস্ব স্থানে করা হবে।
বরিশালের রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, স্থানীয়রা অভিযোগ দিয়েছেন যে পানি উন্নয়নবোর্ড ও সড়ক জনপদের জমি দখল করা হচ্ছে। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।