বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে সারা দেশেই বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কয়েক দিনের টানা ভ্যাপসা গরমের পর চলমান এই বৃষ্টি আরও এক থেকে দুই দিন স্থায়ী হবে। এর মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় ভারী বর্ষণেরও সতর্কতা দিয়েছে অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে সমুদ্রবন্দর এলাকায় চলছে ৩ নম্বর বিপৎসংকেত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে মৌসুমি বায়ু এখন সক্রিয় আছে। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে, যার ফলে সারা দেশেই কম-বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টি আগামীকালও (বৃহস্পতিবার) থাকবে। তবে পুরোপুরি কমবে না, কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।’
আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার থেকে অতি ভারী ৮৯ মিলিমিটার বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ মধ্যপ্রদেশ, ওডিশা, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশ হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আজ বুধবার সকাল থেকে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা (২ থেকে ৫) ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা (১ থেকে ২) ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।