চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান আসামি এবং সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরীসহ ১৭১ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যবসায়ী।
উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা এলাকার ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় সাবেক হুইপ পুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, হুইপের দুই ছোট ভাই ফজলুল হক চৌধুরী মহব্বত, মুজিবুল হক চৌধুরী নবাবসহ ১২১ জনকে এজহারভুক্ত আসামি করে আরও ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টার এ মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে- পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান, মোজাম্মেল হক রাজধন, নুরুল হুদা, এমরান, যুবলীগ নেতা সাইফুল হাসান টিটু, মহিম, বাবর, জাবেদ সরওয়ার, কায়ছার, সাদ্দাম, সাইফুজ্জামান মানিক, আব্বাস উদ্দিন ছোটন, ছাত্রলীগ নেতা কপিল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, পটিয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সরওয়ার কামাল রাজিব, গিয়াস উদ্দিন আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার রুপক কুমার সেন।
এছাড়া সাবেক ১৫ জন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের মধ্যে আবুল কাশেম, এহসানুল হক, জাকারিয়া ডালিম, ইনজামুল হক জসিম, মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ সেলিম, রনবীর ঘোষ টুটুন, সরোজ কান্তি সেন নান্টু, মাহবুবুল হক চৌধুরী, মো. বখতিয়ার, বি এম জসিম, শামসুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন সবুজ, ফৌজুল কবির কুমার, আমিনুল ইসলাম খান টিপু, সাবেক ইউপি সদস্য হাসেম মেম্বারসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজহারে বাদী ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন উল্লেখ করেছেন, উল্লিখিত আসামিরা দলবদ্ধ সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজ, অস্ত্রধারী, ভূমিদস্যু এবং অত্যাচারী প্রকৃতির লোক হয়।
আসামিরা উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সন্ত্রাসী বাহিনী নামে পরিচিত। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার আসার পর আসামিরা ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে নিরীহ লোকদের কাছে চাঁদা দাবি, মানুষদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে।
১--৩ নম্বর আসামিদের নির্দেশে ৪-১৮ নম্বর আসামিরা যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে বাদীসহ যুবদল নেতা আবুল হাসান, জাফর আহমদ, মো. রাসেল, মো. ফোরকান, সাইফুদ্দিন সহ অনেকেই আহত হন।
১৯-১২১ নম্বর আসামিরা বিভিন্ন উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে ককটেল বিস্ফোরণ করলে এতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এ সময় চট্টগ্রাম পটিয়া কক্সবাজার মহাসড়কের শান্তিরহাট এলাকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ভিকটিম ও সাক্ষীরা বাধা দিলে আসামিরা বাদী ও ভিকটিমদের হত্যার উদ্দেশে লোহার রড দিয়ে মারধর করে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর। মামলার বিষয় নিয়ে আরও জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাননীয় আইজি মহোদয় বলেছেন, মামলা হলেও ঢালাওভাবে কাউকে আটক করা হবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণ সাপেক্ষে আসামিদের আটক করা হবে।