চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মো. ফিরোজ খান (৩৫) নামের এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্হানীয় চিহ্নিত যুবদল ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা ।
গতকাল ১৮ অক্টোবর শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার লালানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবলীগ নেতা ফিরোজ খান বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি উপজেলার উত্তর কলাবাড়িয়া এলাকার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, ফিরোজকে তার বোনের বাড়ি থেকে পাশের খালি জমিতে ডেকে নিয়ে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। নিয়ে যাওয়ার সময় তারা নিজেদের বিএনপির নেতাকর্মী বলে পরিচয় দিয়ে গলা টেনে ধরে মারতে মারতে ঘর থেকে নিয়ে যায়। পরে মরদেহ বোনের বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা করা হয় নি। এদিকে নিহত মো : ফিরোজ খানকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন। ঘর থেকে ডেকে নিয়ে একদল সন্ত্রাসী যেভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে তা গভীর উদ্বেগজনক। পরিবারের পক্ষ থেকে এ হত্যাকান্ড জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এছাড়াও যুবলীগ নেতা মো : ফিরোজ খানকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগ ও সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দ। তারা বিবৃতিতে প্রশাসনকে অবিলম্বে যুবলীগ নেতা মো ফিরোজ খানকে হত্যায় জড়িত সন্ত্রাসীদের আটকের দাবি জানান।