৬৫ দিনের অবরোধের পর থেকে পরপর কয়েকবার নিম্নচাপ দেখা দেওয়ায় জেলেরা বারবার লোকসানের মুখ দেখছে। গত এক সপ্তাহ পূর্বেও তারা নিম্নচাপে ঘাটে ফিরছিলেন। আবহাওয়া ভালো হওয়ার পর সাগরে যাওয়ার তিনদিনেই আবার উত্তাল হয়ে উঠে সমুদ্র। এতে ফের ঘাটে ফিরল জেলেরা। তবে কোনো ট্রলারেই মাছের দেখা মেলেনি যা পেয়েছে তাতে বাজার খরচও উঠবে না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে জেলে ও ট্রলার মালিকরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এসময় দেখা যায়, আবহাওয়া খারাপ থাকায় খালের মধ্যে ট্রলারগুলো নোঙর করে রাখা আছে। জেলেরা সাগরে যাওয়ার তিন দিনের মাথায় বৈরী আবহাওয়ায় তাদের পুনরায় ফিরে আসতে হয়েছে। সময় নিয়ে মাছ ধরতে না পেরে তারা যে মাছ পেয়েছে তাতে বাজার খরচও হবে না। পরপর কয়েকবার লোকসান হওয়ায় জেলে পল্লীতে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বৈরী আবহাওয়ায় তারা ঘাটে ফিরে এসেছিলেন। আবহাওয়া ভালো হলে গত তিনদিন পূর্বে তারা পুনরায় সমুদ্রে মাছ শিকারে যায়। কিন্তু তিন দিনের মাথায় সমুদ্র উত্তাল হলে তাদের আবারও ঘাটে ফিরে আসতে হয়।
নাসির উদ্দিন নামে এক ট্রলারের মাঝি জানান, এবছর এখন পর্যন্ত লাভের মুখ দেখতে পারিনি। এভাবে লোকসান হতে থাকলে এই পেশা পরিবর্তন করে নতুন পেশা খুঁজতে হবে।
‘নুসরাত-২’ নামের ট্রলারের মালিক মো. মিজানুর রহমান বলেন, অবরোধের পর থেকে বারবার নিম্নচাপ দেখা দেওয়ায় আমরা লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারছি না। গত বছর আমরা ভালোই লাভের মধ্যে ছিলাম, কিন্তু এবছর এখন পর্যন্ত লাভের মুখ দেখতে পারিনি।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বিগত পাঁচ বছরের চাইতে এই বছর নিম্নচাপ বেশি হওয়ায় জেলেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধার দেনা করে ট্রলার মালিকরা তাদের ট্রলার সাগরে পাঠায়। কিন্তু একের পর এক লোকসান হলে তাদের মাথায় দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে সবাই বিকল্প ব্যবসা খোঁজ করবে।