সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে মেহেন্দিগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় এই মানববন্ধনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশত সহকারি শিক্ষক অংশ গ্রহন করেন।
প্রায় ঘন্টাকাল ব্যাপী এই মানববন্ধনে বেশ কযেকজন শিক্ষক বক্তব্য রাখেন। তারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের যোগ্যতা ও ন্যায্যতার আলোকে ১০ম গ্রেড প্রদানের যৌক্তিকতা সমূহ তুলে ধরেন। প্রাথমিকে সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতম/সমমান(২য় শ্রেনী), বেতন গ্রেড ১৩তম৷
অপরদিকে সরকারি গাড়ীর ড্রাইভার অষ্টম শ্রেনী পাশ করেও তার বেতন গ্রেড ১২ তম। এছাড়াও সমযোগ্যতা সম্পন্ন সরকারি অন্যান্য বিভাগেও বেতন বৈষম্য তুলে ধরেন তারা। যেমন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক/ সমমান, বেতন গ্রেড ১০ তম। পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক/সমমান, বেতন গ্রেড ১০ তম।নার্সদের নিয়োগ যোগ্যতা এইচএসসি( ডিপ্লোমা ইন নার্সিং), বেতন গ্রেড ১০ম। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার পদে নিয়োগ যোগ্যতা এসএসসি(৪ বছর কৃষি ডিপ্লোমা) , বেতন গ্রেড ১০ম। বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক/ সমমান,বেতন গ্রেড ১০ম/৯ম। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্বুদ্ধ করেন। নতুন নিয়োগ পাওয়া একজন সহকারি শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে সর্ব সাকুল্যে ১৭৬৫০ টাকা বেতন পেযে থাকে।
এই টাকা দিয়ে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বাজারে জীবন নির্বাহ করা খুবই কস্টকর হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে হতাশায় ভুগতে হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের। এই বৈষম্য থেকে পরিত্রান পেতে মেহেন্দিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল মানববন্ধন শেষে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহকারি শিক্ষক মোঃ মাহবুব হোসেন, মোঃ ইমরান হোসেন, মোঃ মাকসুদুর রহমান, মোঃ ইয়ামিন, মোঃ আবদুর রহমান, সীমা বেগম, আলী হোসেন, মোঃ জসিম উদ্দিন, সুফিয়ার রহমান, ইমদাদুল হক মিলন, মোঃ সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য সহকারি শিক্ষকবৃন্দ।