রেমিটেন্সের প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে দেশীয় রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে। গত জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের পাঠানো বৈদেশিক অর্থে রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে। তথ্যসূত্র মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভ ২ হাজার ৪৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। তবে ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন এবং আইএফএম এর হিসাবমান অনুযায়ী বিপিএম-৬ ছিল ১৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন। সেই হিসাবে রিজার্ভ সামান্য বেড়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ দাড়িয়েছে ১ হাজার ৯৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলারে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধিতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে। গত জুলাই থেকে আগস্টে রেমিটেন্সের প্রবাহ বেড়েছে। আর্থিক সংকট কাটতে শুরু করায় ব্যাংকগুলো নিজেরাই ডলার কেনাবেচা করতে পারছে। তিনি বলেন, ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ ক্ষয়রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। কারণ রেমিটেন্সের প্রবৃদ্ধি ঘটছে। গত অর্থবছরের তুলনায় এ অর্থ বছরে ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জুলাইয়ের সঙ্গে অগাস্টের প্রবৃদ্ধি ধরলে এটা প্রায় ৯০ শতাংশ।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, চলতি সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স আসার গতি ভালো আছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে আড়াই বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স আসবে। বৈধপথে রেমিটেন্স আসার পেছনে কাজ করছে সচেতনতা। আবার বৈধপথে ডলারের দর বৃদ্ধিতে হুন্ডি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। এতে বাড়ছে রেমিটেন্স আসার গতি।