শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট (ঝতঐগ ঞৎঁংঃ) এর উদ্যোগে বিভিন্ন খাতে ৩৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠান আজ ২ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০.৩০ টায় ট্রাস্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
ট্রাস্টের প্রশাসনিক ও সমন্বয় কর্মকর্তা তানভীর হোসাইন-এর সঞ্চালনায় সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস জেড এইচ এম ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন এবং এস জেড এইচ এম বৃত্তি তহবিলের সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন। কোরআন তেলাওয়াত করেন মাইজভাণ্ডারী একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন বলেন, বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমাদের দেশের অনেক অঞ্চলে এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ট্রাস্ট সুবিধাবঞ্চিত সে সকল এলাকা সহ সমগ্র দেশজুড়ে মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতায় সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, আজানের মধ্যে মানুষকে ফালাহ তথা কল্যাণের পথে আহবান করা হয়। শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট মানব কল্যাণমূলক কাজের আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে সারা বিশ্বব্যাপি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও পরিচালনায় সহায়তা, পিছিয়ে পরা ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শিক্ষক সম্মানি প্রদান, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী ও প্রবীণ আলেমসহ মোট ৬জনকে চিকিৎসা সহায়তা, আয় বর্ধক খাতে ২জনকে ব্যাটারি রিকশা ক্রয় ও ১জনকে গবাদি পশু ক্রয়ে সহায়তা, ৩ জনকে গৃহ নির্মাণে সহায়তা, ২ জনকে বিদেশ যাত্রায় সহায়তা ও ৫ জনকে মেয়ের বিবাহে সহায়তা সহ মোট ২০জন ব্যক্তি ও ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে ৩৯ লাখ ৭ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।