বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার ৮টি দোকান দখল করার সত্যতা মিলছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে বিরাজমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আমীর আলী তালুকদার একটি বাহিনী নিয়ে বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় তার চাচাতো ভাই প্রায়াত আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন তালুকদারের ৮টি দোকান দখল করে নেন।
ঘটনার বিচার দাবি করে সাহাবুদ্দিন তালুকদারের ছেলে অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান শুভ স্থানীয় সেনাক্যাম্প, থানা ও বাগেরহাট কোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন। সেনাক্যাম্প বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেনি। তবে আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই) এর পরিদর্শক মো. ইকরাম হোসেন এঘটনার তদন্ত করে গত ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, ‘আমীর আলী তালুকদারের বিরুদ্ধে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ৪(ক), ৭(১)(২) ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমানিত হয়েছে’।
মামলার বাদি মাহমুদুল হাসান শুভ বলেন, ‘নৈরাজ্যকর পরিস্তিতিতে দলের প্রভাব খাটিয়ে আমার ৮টি দোকান দখরের পরে স্থানীয় বিএনপি নেতা, থানা পুলিশ, সেনাক্যাম্প ও বাগেরহাট কোর্টে অভিযোগ দিয়েছি। দল এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আশাকরি আদালতে ন্যায় বিচার পাবো’।
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসান শুভ সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। ওই সাংবাদিক সম্মেলনের পরে আমীর আলীও আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী নেতা তথা মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলীকে সাথে নিয়ে একটি পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। বিএনপি নেতা হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে সাথে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করায় বিএনপির মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
**আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ আলেিক সাথে নিয়ে আমীর আলীর সাংবাদিক সম্মেলনের ছবি সংযুক্ত আছে।