সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারি ঘটনার আহত রায়হান মিয়া (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসার পথে শারিরীক অবস্থার অবনতি দেখতে পেরে ওই কিশোরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন। রায়হান মিয়া উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের বাউধরন গ্রামের মৃত শাফিকুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত তিন মাস আগে একই গ্রামের সুহেল মিয়ার ছেলে শাওন মিয়ার সঙ্গে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রায়হান মিয়ার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জেরে গত ২৭ অক্টোবর গ্রামের রাস্তায় শাওন মিয়া রায়হানকে গালিগালাজ করলে এক পর্যায় মারামারিতে ওই কিশোর গুরুত্বর আহত হন। পরে ওই কিশোরে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসার পথিমধ্যে ওই কিশোরের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক জনি হোসাইন বলেন, রায়হান মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সে মারা যায়।
রায়হানের ফুফাত ভাই জাহিদ আহমদ বলেন, ঘটনার পর থেকে রায়হান সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ’তে ভর্তি ছিল। বৃহস্পতিবার তাকে বাড়িতে নিয়ে আসার পথে তার অবস্থা খারাপ দেখে তাকে জগন্নাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আখন্দ বলেন, কিশোরদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় রায়হানের মা রুমি বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের নামে গত ৩ নভেম্বর থানায় মামলা করেন। এরপর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। তবে আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশেরর অভিযান অব্যাহত আছে। মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে। আজ ৮ নভেম্বর শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।