চাঁদাদাবি ও মিথ্যা মামলা দেয়ার অভিযোগে যশোরের কোতয়ালি থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ অপিরিচিত ৩/৪ জন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আসমিরা হলো তৎকালিন এসআই জয়ন্ত সরকার ও এসআই আনছারুল হক। বৃহস্পতিবার শহরের বেজপাড়ার আল আমিনের স্ত্রী সাবিনা আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে ডিবি পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী আকবর হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৬ মার্চ বিকালে বেজপাড়ার আল আমিন মোটরসাইকেলে শংকরপুর আশ্রমরোড মহিলা মাদ্রাসার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ চেকপোস্টে তাকে থামার সংকেত দেয় পুলিশ। আল আমিন মোটরসাইকেল থামানোর পর এসআই জয়ন্ত সরকার ও আনছারুল হক কাজগপত্র চেক করেন। এরপর তারা তারা আল আমিনের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় আসামিরা আল আমিনকে মোটরসাইকেলসহ থানায় নিয়ে যান।
এ সংবাদ পেয়ে আল আমিনের স্ত্রী ঘটনাস্থলে যেয়ে স্বামীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কারন জিজ্ঞাসা করলে আসামিরা তার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন মুক্তির জন্য। চাঁদার টাকা না দেয়ায় আল আমিনকে পরদিন একটি বিস্ফোরক মামলায় আদালতে চালান দেন। পরে সাবিনা আক্তার থানায় মোটরসাইকেল আনতে গেলে মামলায় আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে বলে আদালতে যেতে বলেন। তিনি আদালতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে আসামিরা মোটরসাইকেল আলামত হিসেবে জব্দ করেনি। গত ২০ অক্টোবর শংকরপুর আরকে মিশন রোডে আসামিদের সাথে সাবিনা আক্তারের দেখা হলে মোটরসাইকেল ফেরত চাইলে দিতে অস্বীকার করেন। স্বামীকে মিথ্যা মামলায় আদালতে চালান ও মোটরসাইকেল উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।