আওয়ামী দোষর মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার ওসিকে প্রত্যাহার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন কাজিরহাট বাসী।
আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর মদদ পুষ্ট ওসি মাজহারুল ইসলাম যার বিপি নং (৮৩১১১৩৯৯১৬) কাজিরহাট থানায় যোগদানের পর থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দেওয়া শুরু করেন।
ওসি মাজহারুল বিভিন্ন সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এমনকি তিনি যদি বিএনপি নেতাদের ১২ ঘন্টার ভিতরে গ্রেফতার করতে না পারেন তাহলে চাকুরী ছেড়ে দিবেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সাবেক এমপি পংকজ নাথের অনুসারী হিসেবে কাজিরহাট এলাকায় যারা নেতৃত্ব দিতেন তারা এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট জবর দখল সহ সকল অন্যায় করতে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে তাদের অনুসারী হয়ে বলে দিতেন অভিযোগ নেওয়া যাবে না উপরের নির্দেশ।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর যখন দেশের অবস্থা স্বাভাবিক এবং বিএনপির নেতা কর্মীরা মিছিল মিটিং সমাবেশ করে তখন ও ওসি মাজহারুল বিএনপি নেতা কর্মীদের সহযোগিতা না করে আওয়ামী লীগের যারা আছেন তাদেরকে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে।
গত অক্টোবরে মাসের শেষের দিকে ভিকটিম আঃ কাদের খান(৪৪) নামের সাধারণ একজন কৃষকের ১৬ বছরের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে কলি কে অপহরণ করে পংকজ অনুসারী আওয়ামী নেতা দুই সন্তানের জনক লম্পট বখাটে ইকবাল হোসেন । বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত ইকবালের নামে অপহরণ মামলা করার জন্য থানায় যান মেয়ের বাবা কাদের খান। ওসি মাজহারুল মামলা না নিয়ে গরিমসি শুরু করেন। সরাসরি বলে দেন মামলা নেওয়া যাবে না উপরের নির্দেশ। এভাবে এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও মামলা নিতে রাজি হননি পরে স্থানীয় বিএনপির লোকজনের চাপের মুখে ১/১১/২০২৪ তারিখে মামলা নিতে বাধ্য হন ওসি মাজহারুল।
ওসি মাজহারুল ইসলাম একজন স্বৈরশাসকের দোষর আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করে বর্তমানে এর দ্বারা কাজিরহাট থানার সাধারন মানুষ নিরাপদ নয় তাই তাকে পূর্বের কর্মকান্ডের জন্য আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।কাজিরহাট বাসীর একটাই দাবি ওসি মাজহারুল কে প্রত্যাহার করে আইনের আওতায় আনার জন্য। সেই সাথে মাননীয় পুলিশ সুপার এর কাছে আকুল আবেদন থাকবে ওসি মাজহারুল ইসলাম এর বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যাতে করে এর দ্বারা সাধারণত মানুষের যেন আর ক্ষতি না হয়।