চট্টগ্রামে ঘরে ঘরে জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এক পরিবারে চারজন সদস্য থাকলে সেখানে তিনজনই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। জ্বরের সঙ্গে আছে সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা ও গলাব্যথা। তবে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু জ্বর হওয়ার পর অনেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কে ভোগেন। অভিযোগ আছে, নগরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও মশক নিধন কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। মাঝে মাঝে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা স্প্রে করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে বাড়ছে এডিস মশা।
জানা যায়, বর্ষার পর কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি, রাতে হালকা ঠান্ডা- এমন মিশ্রিত আবহাওয়ায় অনেকে সিজনাল ফ্লুর জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। বৃদ্ধ, জটিল রোগী এবং শিশুরা বেশি এ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েও অনেকের জ্বর আসছে। চিকিৎসকরা এটিকে ভাইরাস জ্বর, ভাইরাল ফিভার বা সিজনাল ফ্লু হিসেবে দেখছেন। নগরের পাথরঘাটা এলাকার বাসিন্দা ঈশান বলেন, আমাদের ঘরে চার সদস্য। এর মধ্যে তিনজনের শরীরে জ্বর। কারও তিন দিন, কারও দুই দিন। সবাই চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করছেন। কাউকে হাসপাতলে যেতে হয়নি। চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ বলেন, এখন ডেঙ্গু এবং সিজনাল ফ্লুর জ্বর একসঙ্গে সবাইকে আক্রান্ত করছে। শীত মৌসুমের আগে এমনটি হয়ে থাকে। তবে কেন হচ্ছে এ নিয়ে দেশে এখনো কোনো গবেষণা হয়নি। দুটি কারণে একসঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় সংখ্যাটা বেশি মনে হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। জ্বর হলেই যেন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করেন। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রায় এক মাস ধরেই চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় এডিস মশা উৎপাদনের হারও বাড়ছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।