বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, তাই জগন্নাথপুর উপজেলা ধান চাষের জন্য উপযোগী ও সমৃদ্ধ। এরই মধ্যে যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু সবুজ আর সবুজ চোখে পড়ছে। ফাঁকা নেই যেন ফসলের মাঠ। রোদ-বৃষ্টির খেলায় সবুজের আভা ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা, যেন সবুজের গাঢ় রঙ্গে একাকার হয়ে আছে। গরম আর হালকা হাওয়ায় আপন মনে দোল খাচ্ছে আমন ক্ষেত। আমন ক্ষেতে সবুজের ঢেউ খেলানো এমন দৃশ্য চোখে পড়ে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা।
চলতি মৌসুমে এ উপজেলার কৃষকরা রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হাল চাষ, সেচ পানি দিয়ে আমন আবাদ করেন। আর কৃষকের আগামীর সোনালী স্বপ্ন যেন লুকিয়ে আছে সবুজ ধান ক্ষেতের মাঝে। এর মধ্যে এ ধানের ক্ষেতকে ঘিরে স্থানীয় কৃষকরা যেন স্বপ্নের জাল বুনতে শুরু করেছেন। গেলো বোরো মৌসুমে উন্নত প্রযুক্তির বীজ আর সেচ সুবিধা ভালো থাকায় ধান আবাদে তাদের ফলন ভালো হওয়ায় এবার আমনে তাদের উৎসাহ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আমন ধান রোপণের পর জমিতে ভালো পরিচর্যা নেয়ায় মাঠের অবস্থা খুবই ভালো। এখন পর্যন্ত যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে স্থানীয় কৃষকরা বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন।
এদিকে কৃষকদের স্বপ্ন পূরণে ক্ষুধা মুক্ত, খাদ্যে স্বনির্ভর বাংলাদশে বিনির্মাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকারও। সেই সঙ্গে কৃষি বিভাগের আন্তরিকতায় কৃষিতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। সেই সঙ্গে জমিতে ফলন ভালো ফলাতে নিয়মিত তারা তদারকি করছে। রোগ বালায়ের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদেরকে ধান জমিতে কঞ্চি ও গাছের ডাল পুঁতে পাখি দিয়ে পোকা মাকড় দমনে এবং কখন কি ঔষধ ছিটাতে হবে নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করে উৎসাহিত করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হতে জানা যায় উপজেলায় এ বছর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ভালো।
জগন্নাথপুর উপজেলার কৃষক রবিউল ইসলাম(৪০) জানান আমি ৪ কেদার জমিতে আমন চাষ করেছি গেলো বছরের তুলনায় এবছর আমনের গাছ মোটামুটি ভালো আছে তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে গাছে খোলসা পচন,কারেন্ট পোকা ও মাজরা পোকার আক্রমণ একটু বেশি। তাই আগেভাগেই পোকার আক্রমণ ও খোলসা পচা রোগ থেকে রক্ষা করতে কীট নাশক প্রয়োগ করছি। কোন কোন ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে আশা করা যায় এবছর কেদার প্রতি ১৫-২০মণ ধান পাব।