সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমার বড় মেয়ে অসুস্থ হয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমি ও আমার স্বামী সেখানে যাই। আমার ছোট মেয়ে বাড়িতে একা ছিল। এই সুযোগে প্রতিবেশী টুটুল বুধবার রাতে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর আমার স্কুলপড়ুয়া মেয়ের ঘরে নক করে বলে ‘বৃষ্টি দরজা খোলো আমি তোমার বাবা’। বাবার পরিচয় দিলে আমার মেয়ে দরজা খুলে দিলে টুটুল তার মুখ চেপে ধরে এবং তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর আমার মেয়ে চিৎকার করলে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এলে টুটুল পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমরা ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে শুক্রবার সকালে মামলা করতে চাইলে টুটুল তার বাবাসহ আরও কয়েকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের গতিরোধ করে এবং আমাদের এলাকাছাড়া করার ভয়ভীতি দেখায় । মামলা করতে গেলে আমার দুই দেবর ও তার স্ত্রীসহ তিনজনকে টুটুল ও তার পরিবার মারধর করে। আমাদের ঘরবাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পরে জাতীয় জরুরি নম্বরে কল করে পুলিশের সহায়তা নিয়ে দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দিই।
বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার অভিযুক্ত টুটুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর অভিযুক্ত টুটুলের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা করার কথা বলেছি। এ ধরনের মামলায় কখনোই জামিনের সুযোগ নেই। আইনের মাধ্যমে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
কামারখন্দ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান জানান, পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী তার পরিবার নিয়ে জুমার নামাজের পর আসেন। তাকে আমরা নারী-শিশু হেল্প ডেস্কে যে অফিসার আছে তাদের সহায়তায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে বলেছে যে, সে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।