তাওয়াক্কুল শব্দের অর্থ আল্লাহর ওপর ভরসা করা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, হে নবী তুমি বলো, আমার জন্য আল্লাহতায়ালাই যথেষ্ট, যারা নির্ভর করতে চায়, তাদের তো তাঁর ওপরই নির্ভর করা উচিত। (সুরা জুমার, আয়াত ৩৮)। তাঁরা বললেন, আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই আমাদের উত্তম কর্মবিধায়ক। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৭৩)।
আখেরাতের পুরস্কার তাদের জন্য যারা বিপদে ধৈর্য ধারণ করে এবং যারা তাদের মালিকের ওপর ভরসা করে। (সুরা নাহল, আয়াত ৪২)। নেককার মানুষ হাচ্ছে তারা, যারা ধৈর্য ধারণ করে এবং সর্বাবস্থায় নিজেদের মালিকের ওপর ভরসা করে। (সুরা আল আনকাবুত, আয়াত ২৯)।
আল্লাহ রব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে তাওয়াক্কুলের ফজিলত সম্পর্কে এ ধরনের বহু আয়াত নাজিল করেছেন।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- ‘আমি রসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘তোমরা যদি সত্যিকারভাবেই আল্লাহর ওপর ভরসা করো তবে তিনি পাখিদের মতোই তোমাদের রিজিকের ব্যবস্থা করবেন। ভোরবেলা পাখিরা খালি পেটে বেরিয়ে যায় এবং বিকালে ভরা পেটে নীড়ে ফিরে আসে।’
আমাদের মনে রাখতে হবে আল্লাহই তাঁর বান্দার একমাত্র সাহায্যস্থল। তিনিই আমাদের রব। মানুষ সব সময় তাঁর ওপর ভরসা করবে এটাই স্বাভাবিক।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি অবশ্যই আল্লাহর ওপর বিশ্বাস করি, যিনি আমাদের রব, তোমাদেরও রব, বিচরণশীল এমন কোনো প্রাণী নেই যার নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতের মুঠোয় নেই। (সুরা হুদ, আয়াত ৫৬)।
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন অগ্নিকুন্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন- হাসবুনাল্লাহ ওয়া নেয়ামাল ওয়াকিল।’ সুবহানাল্লাহ।
মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন কোরআনের অনেক সুরায় তাঁর ওপর আস্থা ও ভরসা রাখার কথা বারবার বলেছেন। তাঁর ওপর এ ভরসা রাখলে তিনি ওই ব্যক্তির প্রতি যথেষ্ট হবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।
আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে তিনি তার জন্য ও উত্তরণের একটা পথ তৈরি করে দেন এবং তিনি তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দান করেন যার উৎস সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই নেই। যে বাক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তিনিই তার জন্য যথেষ্ট। (সুরা তালাক, আয়াত ২৩)।